গুয়াহাটিতে বিরাট যোগদান অনুষ্ঠানে কংগ্রেস ছেড়ে শ’য়ে শ’য়ে নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। ছিলেন চা গোষ্ঠী, কোচ, সংখ্যালঘু, বড়ো নেতারাও। অগপর বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র মুশাহারিও তৃণমূলে যোগ দিলেন। —নিজস্ব চিত্র।
অসমে বিজেপির ‘একমাত্র বিকল্প’ ও ‘প্রকৃত বিরোধী দল’ হয়ে ওঠার অঙ্গীকার-সহ তৃণমূলের পঞ্চম ইনিংসের যাত্রা শুরু হল। গুয়াহাটিতে বিরাট যোগদান অনুষ্ঠানে কংগ্রেস ছেড়ে শ’য়ে শ’য়ে নেতা-কর্মী তৃণমূলে যোগ দিলেন। ছিলেন চা গোষ্ঠী, কোচ, সংখ্যালঘু ও বড়ো নেতারাও। অগপ-র বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী রাজেন্দ্র মুশাহারিও তৃণমূলে যোগ দিলেন।
বিধায়ক অলক ঘোষ, পরবর্তী কালে প্রদেশ সভাপতি দেবেশ্বর বরা, বিধায়ক দীপেন পাঠক ও আহ্বায়ক গোপীনাথ দাসের নেতৃত্বে বিভিন্ন ভোটে লড়েছে তৃণমূল। সেই জমিতেই দাঁড়িয়ে, এ বার সর্বশক্তিতে অসমে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব, মেঘালয়ের বিরোধী দলনেতা মুকুল সাংমা ও সদ্য অসম তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব পাওয়া রিপুন বরা।
মহুয়া জানান, তাঁর জন্ম শোণিতপুরের ঢেকিয়াজুলিতে। বাবা অসমের চা বাগানে কর্মরত ছিলেন। সেই সূত্রে তিনি অসমকন্যা। ভূপেন হাজরিকার গানের পংক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অসমে নৈতিকতার পতন, মানবতার স্খলন দেখেও নির্লজ্জ, অলস ভাবে বসে থাকা আর শোভা পায় না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এক সবল, সংগ্রামী ও অগ্রগামী সংগঠন গড়ে তুলতে হবে।” মহুয়া বলেন, সবাই যখন ভাবছিল বিজেপি অপ্রতিরোধ্য। তারা হেলায় বঙ্গজয় করবে, তখনই এক লড়াকু মহিলা হুইল চেয়ারে বসে বিজেপির জয়যাত্র থামিয়ে দিয়েছে। হাজার কোটি খরচ করেও বাংলা জয়ের স্বপ্ন সফল হয়নি বিজেপির। অসমেও আদতে কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীদের কিনে এনেই রাজ্য দখল করেছে তারা।
গোয়ার ব্যর্থতার প্রসঙ্গ নিজেই তুলে মহুয়া বলেন, “মাত্র তিন মাস লড়ে গোয়ায় আমরা ৫ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছি। অসমে প্রতিটি জেলা ও ব্লক তৃণমূলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলে লড়াইতে নামতে হবে।” তাঁর কথায়, “দেশ মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল, তখনই বিজেপি হনুমান জয়ন্তী, মাইকে নমাজের মতো বিতর্কের জন্ম দিয়ে মানুষের নজর ঘুরিয়ে রাখতে চাইছে। ধর্ম মানুষকে এক করে, কিন্তু বিজেপির ধর্মই মানুষকে বিভক্ত করা।”