Delhi BMW Crash

বিএমডব্লিউ দুর্ঘটনা: ‘চাকরির প্রথম বেতনে বাবাকে ঘড়ি, মাকে কানের দুল দেব ভেবেছিলাম’! কান্না নভজ্যোত-পুত্রের

দিল্লিতে বিএমডব্লিউ দুর্ঘটনায় রবিবার মৃত্যু হয়েছে নভজ্যোত সিংহের। তিনি অর্থ মন্ত্রকের সচিব ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌর।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১২:২১
Share:

(বাঁ দিকে) দুর্ঘটনায় মৃত অর্থ মন্ত্রকের সচিব নভজ্যোত সিংহ। (ডান দিকে)রবিবার দুর্ঘটনার দিন। ছবি: সংগৃহীত।

১৬ সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন। আজ সেই দিন। বাড়িতে মা-বাবা, পরিবার এবং বন্ধুদের নিয়ে যেখানে জন্মদিন উদ্‌যাপন করার কথা ছিল নবনুর সিংহের, দুর্ভাগ্যক্রমে এখন তাঁকে হাসপাতালে বসেই কাটাতে হচ্ছে। আর মায়ের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছেন।

Advertisement

দিল্লিতে বিএমডব্লিউ দুর্ঘটনায় রবিবার মৃত্যু হয়েছে নভজ্যোত সিংহের। তিনি অর্থ মন্ত্রকের উপসচিব ছিলেন। সেই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি তাঁর স্ত্রী সন্দীপ কৌর। তাঁদেরই পুত্র নবনুর। বছর একুশের নবনুরের জন্মদিন মঙ্গলবার অর্থাৎ ১৬ সেপ্টেম্বর। সদ্য চাকরি পেয়েছেন নবনুর। হাসপাতালের লবিতে বসে এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘চাকরির প্রথম মাইনে পেয়ে বাবার জন্য একটা হাতঘড়ি এবং মাকে কানের দুল কিনে দেব ভেবেছিলাম। কিন্তু আর হল না। মা এখন সঙ্কটজনক। বাবাকে হারিয়েছি।’’ এ কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নবনুর।

রবিবার স্ত্রীকে বাইকের পিছনে বসিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন নভজ্যোত। সেই সময় ধৌলা কুয়াঁর কাছে বিএমডব্লিউ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নভজ্যোতের। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি তাঁর স্ত্রী। তাঁদের পুত্র নবনুর বলেন, ‘‘ওরা আমার বাবা-মা হলেও বন্ধুর থেকেও বেশি ছিল। সপ্তাহান্তে বাবা-মা দু’জনেই একসঙ্গে ঘুরতে বেরোত। গাড়ি নিয়ে বাবা কাজে গেলেও, মাকে নিয়ে যখন বাইরে যেত, গাড়ির চেয়ে বাইকই বেশি পছন্দ ছিল বাবার।’’

Advertisement

জানা গিয়েছে, অর্থ মন্ত্রকে এক জন সৎ অফিসার হিসাবে পরিচিত ছিলেন নভজ্যোত। হংসরাজ কলেজ থেকে উদ্ভিদবিদ্যায় স্নাতকোত্তরের পর ১৯৯৫ সালে এসএসসি সিজিএল পরীক্ষায় পাশ করেন। কাজ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং অর্থ মন্ত্রকেও। নবনুর জানিয়েছেন, পরিবার এবং কাজ খুব ভাল ভাবে সামলাতেন বাবা। তাঁর পছন্দ ছিল মোটরবাইক। সম্প্রতি একটি বাইক কিনেছিলেন তিনি। এ ছাড়াও ফোটোগ্রাফিও ছিল তাঁর নেশা।

নবনুর বলেন, ‘‘আফসোস থেকে গেল, বাবার জন্য পছন্দ করা হাতঘড়িটা তাকে দিতে পারলাম মা। জানতাম, বাবা ঘড়ি খুব পছন্দ করে। তাই একটা ঘড়ি পছন্দ করে রেখেছিলাম। আমর জন্মদিনে সেই উপহার দিতাম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement