Manipur Violence

গুলিতে নিহত আয়কর আধিকারিক, সিআরপিএফ কমান্ডো! কেন হঠাৎ অগ্নিগর্ভ হল মণিপুর?

পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার মণিপুরে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই হিংসা নতুন করে ছড়িয়েছে সেখানে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইম্ফল শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৩ ০৯:৩৮
Share:

হিংসা থামার লক্ষণ নেই মণিপুরে। ফাইল চিত্র।

মেইতেই জনগোষ্ঠীর তফসিলি উপজাতি পরিচয়ের দাবিতে চলতি সপ্তাহের গোড়ায় শুরু হয়েছিল আন্দোলন। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে মণিপুর। শুক্রবার গভীর রাতে চূড়াচাঁদপুরে গুলি করে খুন করা হয়েছে বাড়িতে ছুটি কাটাতে আসা এক সিআরপিএফ কমান্ডোকে। রাজধানী ইম্ফলে হিংসার বলি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিসের এক আয়কর আধিকারিক।

Advertisement

পরিস্থিতি সামলাতে শুক্রবার মণিপুরে ৩৫৫ ধারা জারি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই এই ঘটনা। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী সিআরপিএফের তরফে শুক্রবার ছুটিতে থাকা মণিপুরের জওয়ান ও অফিসারদের অবিলম্বে নিকটবর্তী শিবিরে রিপোর্ট করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার আন্দোলনকারী মেইতেই জনগোষ্ঠীর দাবির বিরোধিতা করে একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি মণিপুর হাই কোর্ট মেইতেইদের তফসিলি জনজাতির মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে। এর পরেই জনজাতি সংগঠনগুলি তার বিরোধিতায় পথে নামে। আর সেখান থেকেই সংঘাতের সূচনা।

Advertisement

মূলত সমতল এলাকার বাসিন্দা মেইতেইরা মণিপুরের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। অন্য দিকে, কুকি, অঙ্গামি, লুসাই, নাগা, থাড়োয়াসের মতো প্রায় ৩০টি জনজাতি গোষ্ঠীর বাস পাহাড়ি এলাকায়। তাদের আশঙ্কা, জনজাতির মর্যাদা পেলেই পাহাড়ি এলাকার জমিতে হাত বাড়াবে মেইতেইরা। এখন জনজাতির মর্যাদা না পাওয়ায় তারা ওই জমি কিনতে পারে না।

অন্য দিকে, মেইতেইদের দাবি, ১৯৪৯ সালে ভারতীয় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মণিপুর সংযুক্ত হওয়ার আগে তাঁরা জনজাতি হিসাবে গণ্য হতেন। কিন্তু সংযুক্তিকরণের পর সেই পরিচয় হারান তাঁরা। ফলে জনজাতি জমির অধিকার, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সাংবিধানিক রক্ষাকবচও হারিয়েছেন। যে কারণে আজ নিজভূমেই কোণঠাসা তাঁরা। ১৯৫২ সালে মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ যেখানে মেইতেই ছিল, ২০১১ সালের আদমশুমারিতে তা ৪৪ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন