Rahul Gandhi

রাহুলকে জেলের সাজা দেওয়া বিচারকের আইন ভেঙে পদোন্নতি গুজরাতে? মামলা গৃহীত সুপ্রিম কোর্টে

১০ বছর নিম্ন আদালতে বিচারকের পদে থাকা ৪৩ বছরের বর্মা সম্প্রতি রাজকোটের দায়রা আদালতে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তা নিয়েই অভিযোগ দুই বিচারকের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০২৩ ১৭:১২
Share:

রাহুলকে সাজা দেওয়া বিচারকের পদোন্নতিতে মামলা। — ফাইল চিত্র।

মোদী পদবি নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন তিনি। ‘অপরাধমূলক মানহানির’ মামলায় ২ বছর জেলের সাজাও দিয়েছিলেন (এই মেয়াদের সাজা দিলে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনে কোনও সাংসদ বা বিধায়কের পদ খারিজ হতে পারে)।তার দেড় মাসের মধ্যেই কেন গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হরিশ হাসমুখভাই বর্মার পদোন্নতি হল, সুপ্রিম কোর্টে সে প্রশ্ন তুলেছিলেন গুজরাতেরই দুই সিনিয়র বিচারক। শুক্রবার শীর্ষ আদালত সেই আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। আগামী সোমবার (৮ মে) বিচারপতি এমআর শাহের বেঞ্চে আবেদনের শুনানি হবে।

Advertisement

১০ বছর নিম্ন আদালতে বিচারকের পদে থাকা ৪৩ বছরের বর্মা সম্প্রতি রাজকোটের দায়রা আদালতে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন। বিচারক বর্মা-সহ গুজরাতের মোট ৬৮ জন বিচারকের পদোন্নতির নির্দেশিকা জারি হয়েছে চলতি সপ্তাহেই। আর সেই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন, গুজরাতের দুই সিনিয়র সিভিল জজ— রবিকুমার মেহতা এবং সচিন প্রতাপরায় মেহতা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে পদোন্নতি হয়েছে বিচারক বর্মা-সহ ৬৮ জনের।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের প্রচারের সময় কর্নাটকের কোলারে ‘মোদী’ পদবি তুলে আপত্তিকর মন্তব্যের দায়ে গত ২৩ মার্চ গুজরাতের সুরাত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা ২ বছর জেলের সাজা দিয়েছিলেন রাহুলকে। বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদীর দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই ছিল ওই রায়। ওই রায়ের পরেই ২৪ মার্চ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ভারতীয় সংবিধানের ১০২(১)-ই অনুচ্ছেদ এবং জনপ্রতিনিধিত্ব আইন (১৯৫১)-র ৮(৩) নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করেছিলেন।

Advertisement

রাহুল তাঁকে দোষী ঘোষণা এবং সাজার উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গত ৩ এপ্রিল সুরাতেরই দায়রা আদালতে (সেশনস কোর্ট) আবেদন করেছিলেন। কিন্তু গত ২০ এপ্রিল অতিরিক্ত দায়রা বিচারক আরপি মোগেরা খারিজ করেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির সেই আবেদন। এর পরে পদবি-মন্তব্যে দোষী ঘোষণা এবং সাজা কার্যকরের জন্য সুরাত দায়রা আদালতের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে মঙ্গলবার গুজরাত হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু গত মঙ্গলবার গুজরাত হাই কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আবেদন খারিজ করে জানান, জুনের গোড়ায় গরমের ছুটি শেষ হলে এই মামলার চূড়ান্ত রায়দান করবেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন