প্রতিবাদী: নাহিদ আফরিন
গানই তার কাছে ঈশ্বর। তাই গান সে গাইবেই। অসমের কিশোরী গায়িকা নাহিদ আফরিন পণ করেছে, কোনও রকম নিষেধাজ্ঞায় তার সঙ্গীতের উড়ান থামবে না।
দু’এক মাস আগে পর্যন্ত কেউ চিনত না বিশ্বনাথ চারালির বাসিন্দা নাহিদকে। কিন্তু টেলিভিশনে একটি সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পরই বদলে যায় সব। সেখানে রানার আপের শিরোপা পেয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠে নাহিদ। আগামী ২৫ তারিখ অসমে হোজাই জেলায় একটি ক্রীড়া সংগঠনের উদ্যোগে এএসবিসি কলেজ প্রাঙ্গণে নাহিদের একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। কিন্তু মঙ্গলবার কয়েক জন ধর্মীয় নেতা এবং মাদ্রাসার কয়েক জন শিক্ষক-সহ ৪৬ জনের স্বাক্ষরিত একটি লিফলেট সেখানে বিলি করা হয়। তাতে বলা হয়: মসজিদ, মাদ্রাসা, কলেজের মাঠে জলসা করা ঠিক নয়। নাচ-গান বা জাদু প্রদর্শন শরিয়ত-বিরোধী। সরাসরি নাহিদের কথা সেখানে বলা না হলেও সরব হয় দশম শ্রেণির ছাত্রীটি। কারণ ওই অনুষ্ঠানের সে-ই প্রধান গায়িকা। হইচই শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতেও। নাহিদ আফরিনের বক্তব্য, ‘‘আগেও আমার গান বন্ধ করার চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু গান ধর্মের ঊর্ধ্বে। আমি গাইবোই।’’
আরও পড়ুন: কট্টরপন্থীদের ফতোয়া উপেক্ষা করেই সঙ্গীত সফর অসমিয়া গায়িকার
এর মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল নাহিদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন। নাহিদের পাশে দাঁড়ান আলফা নেতা পরেশ বরুয়াও। নাহিদকে সমর্থন জানিয়ে টুইট করেছেন তসলিমা নাসরিন, পরেশ রাওয়াল, বিশাল দাদলানিরা। অসমের ডিজিপি মুকেশ সহায় জানান, প্রয়োজনে তাকে ব্যক্তিগত দেহরক্ষী দেওয়া হবে। নাহিদের সব অনুষ্ঠানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারও ব্যবস্থা করা হবে।
এ দিন উদালির ওই লিফলেট প্রকাশকদের তরফে বলা হয়েছে, তাঁরা কারও নাম নেননি। তাঁদের কথার ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। বিজেপি মুখপাত্র মেহদি আলম বোরা-ও বলেন, ইসলামি দর্শনে সঙ্গীতের বিরোধিতা করা হয়নি।