Dawood Ibrahim

মুম্বইয়ে গ্রেফতার দাউদের জামাইবাবুর খুনি

শুধু দাউদের গ্যাং-ই নয়, নব্বইয়ের দশকের মুম্বইয়ে সক্রিয় ছিল আরও অনেক ছোটখাটো গ্যাং, যার মধ্যে অন্যতম হল শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের ঘনিষ্ঠ অরুণ গাওলি ওরফে অরুণ গুলাব আহিরের গ্যাং।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৭:৪৬
Share:

দাউদ ইব্রাহিম।—ফাইল চিত্র।

মুম্বইয়ে গ্রেফতার গ্যাংস্টার দয়ানন্দ সলিয়ান ওরফ পুজারী। অরুণ গাওলি গ্যাংয়ের সদস্য সে। মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমের জামাইবাবুর খুনি। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে গা ঢাকা দিয়ে ছিল। সোমবার পূর্ব মুম্বইয়ের কাঞ্জুরমার্গ থেকে তাকে গ্রেফতার করে ইন্সপেক্টর সতীশ তাওড়ের নেতৃত্বাধীন মুম্বই পুলিশের অপরাধ দমন শাখার সপ্তম ইউনিট।জেরায় অপরাধ কবুল করেছে সে।

Advertisement

দীর্ঘ ২২ বছর উত্তরপ্রদেশে গা ঢাকা দিয়ে ছিল পুজারী। পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। এত বছর পর, সম্প্রতি মুম্বইয়ে পা রাখে সে। কয়েকজন পুরনো সহযোগীর সাহায্যে পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চায়। গোপনসূত্রে সে খবর পৌঁছয় পুলিশের কাছে। তবে রীতিমতো ফাঁদ পেতে তাকে ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক আধিকারিক।

তিনি বলেন, ‘‘পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না পুজারীর। কোনও হদিশই ছিল না ওর। তাই ধরতে এত সময় লেগে গেল। জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছে ও। জানিয়েছে, পুলিশ ও ডি কোম্পানির নজর এড়াতে নাম ভাঁড়িয়ে ঝাঁসি সহ উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন রেস্তরাঁয় কাজ করেছে।’’ খুন, খুনের চেষ্টা এবং ১৯৯২ সালের বেআইনি অস্ত্র আইনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু নিয়ে পাকিস্তানের লেকচার দেওয়া সাজে না, ইমরানকে তোপ কাইফের​

আরও পড়ুন: ঋণ মকুবের পর এ বার শিল্পের জন্য নেওয়া কৃষকদের জমি ফেরাচ্ছেন বঘেল​

অপরাধমূলক কাজকর্মের জন্য দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে পুলিশের খাতায় নাম পুজারীর। তবে সে কুখ্যাত হয়ে ওঠে ১৯৯২ সালে। ঢের আগে ভারত ছেড়ে দিলেও, সেই সময় দাউদের নামে কাঁপত গোটা মুম্বই। তোলাবাজি, অপহরণ, মাদক পাচার সহ তার বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজকর্মের দেখভাল করত পরিবারের লোকজনই। বহু মানুষ তাদের হয়ে কাজ করত।

তবে শুধু দাউদের গ্যাং-ই নয়, নব্বইয়ের দশকের মুম্বইয়ে সক্রিয় ছিল আরও অনেক ছোটখাটো গ্যাং, যার মধ্যে অন্যতম হল শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের ঘনিষ্ঠ অরুণ গাওলি ওরফে অরুণ গুলাব আহিরের গ্যাং। মায়ানগরীতে রাজত্ব নিয়ে দুই দলের মধ্যে ঝামেলা বাঁধে। তার জেরে ১৯৯২ সালে দাউদের দিদি হাসিনা পার্কারের স্বামী ইসমাইল পার্কারকে গুলি করে খুন করে পুজারী সহ গাওলির গ্যাংয়ের চার সদস্য। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এ দিকে জামাইবাবুর খুনের প্রতিশোধ নিতে উঠেপড়ে লাগে দাউদ। তার নির্দেশে ওই বছরই মুম্বইয়ের জেজে হাসপাতালে হামলা চালায় তার কিছু লোকজন। ইব্রাহিম পার্কারের মূল হত্যাকারী শৈলেশ হালদানকর অসুস্থ অবস্থায় সেখানে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তাকে গুলি করে খুন করা হয়। খুন করা হয় তার পাহারায় মোতায়েন দুই কনস্টেবলকেও। কোনওরকমে প্রাণ বাঁচিয়ে পালায় পুজারী। ১৯৯৩ সালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কিন্তু ১৯৯৬ সালে জামিনে ছাড়া পেয়ে যায়। জামিন পেলেও, ডি কোম্পানির ভয় তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছিল। তাই গা ঢাকা দেয় সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন