national news

কন্টেনমেন্ট জোনের ১৫-৩০% মানুষই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন, সেরেও উঠেছেন, জানাল আইসিএমআর

বিভিন্ন রাজ্যের ৭০টি জেলা থেকে প্রায় ২৪ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে এই সমীক্ষা চালিয়েছে আইসিএমআর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২০ ১৩:০৩
Share:

কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত কি না, পরীক্ষা করছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। হাওড়ার কালিবাবুুর বাজারে। -ফাইল ছবি।

দেশের যে সব এলাকায় কন্টেনমেন্ট জোন রয়েছে, সেখানকার ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাসিন্দা ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে তাঁরা সেরেও উঠেছেন। ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)’-এর প্রথম দেশজোড়া জনসংখ্যা ভিত্তিক সেরোলজিক্যাল সমীক্ষা এই তথ্য জানিয়েছে। সমীক্ষা এও জানিয়েছে, অন্যান্য রাজ্যের কন্টেনমেন্ট জোনগুলির তুলনায় মুম্বই, পুণে, দিল্লি, আমদাবাদ ও ইনদওরে সংক্রমণের হার অনেক বেশি।

Advertisement

বিভিন্ন রাজ্য সরকার, ‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি)’ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) ভারতীয় কার্যালয়ের সহযোগিতায় আইসিএমআর দেশের বিভিন্ন রাজ্যের ৭০টি জেলা থেকে প্রায় ২৪ হাজার মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে এই সমীক্ষা চালিয়েছে।

সমীক্ষার ফলাফলে আরও একটি আশার আলো দেখা গিয়েছে। কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে গত ৬ মাস ধরে লড়াই চালিয়ে আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে কি না, তার উপর সমীক্ষা চালানো না হলেও, ফলাফল জানাচ্ছে, ভারতে ধীরে ধীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা বোঝাচ্ছে, আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রথম গড়ে উঠবে কন্টেনমেন্ট জোনগুলির বাসিন্দাদের মধ্যেই।

আরও পড়ুন- শাহের সভার আগে নেট বিঘ্নিত করার অভিযোগ তুলে রাজভবনে বিজেপি

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড মৃত্যু, দেশে করোনায় আক্রান্ত ২.৬৬ লক্ষ​

তবে আশঙ্কার কথাও শুনিয়েছে আইসিএমআর-এর সমীক্ষা। জানিয়েছে, ভারতে উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যা প্রচুর। তাঁরা কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কি না, বোঝা যাচ্ছে না। তাঁদের হিসাবে ধরা হলে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা নিশ্চিত ভাবেই অনেক বেশি হবে।

সেরোলজিক্যাল সমীক্ষা চালাতে মানুষের রক্তের সিরাম নেওয়া হয়েছে। তাঁদের রক্তে অ্যান্টিবডির হদিশ পেতে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা ইতিমধ্যেই কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং পরে সেরেও উঠেছেন, তাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। ফলে, তাঁদের দেহে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই গড়ে উঠেছে।

আইসিএমআর-এর তরফে জানানো হয়েছে ‘কোভিড কাভাক এলিজা টেস্টিং কিট’ ব্যবহার করা হয়েছে এই সমীক্ষায়। যার মধ্যে জানা সম্ভব হয় রক্তে ইমিউনোগ্রোবিউলিন-জি অ্যান্টিবডি রয়েছে কি না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন