মোদী-ভূমেই জমি হারাচ্ছে বিজেপি

এ বছর অগস্ট থেকে গুজরাতে সমীক্ষা করছে এবিপি নিউজ। তখন ভোট হলে বিজেপি ১৪৪-১৫২টি আসন পেত। কংগ্রেস পেত মাত্র ২৬-৩২টি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:১৭
Share:

গুজরাতে প্রচারে মোদী। ছবি: সংগৃহীত।

রাহুল গাঁধীর দাপটে খোদ নরেন্দ্র মোদীর গড়েই দ্রুত জমি হারাচ্ছে বিজেপি। ইঙ্গিত মিলছে জনমত সমীক্ষাতেও।

Advertisement

চার দিন পরে গুজরাতে প্রথম দফার ভোট। দু’মাস আগেও সেখানে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল বিজেপি। কিন্তু এই মুহূর্তে সেখানে ভোট হলে টেনেটুনে সরকার গড়ার অঙ্ক ছোঁবে মোদীর দল। ভোট শতাংশের হিসেবেও বিজেপিকে ছুঁয়ে ফেলেছে কংগ্রেস। এবিপি নিউজ-সিএসডিএসের শেষ জনমত সমীক্ষা অন্তত তাই বলছে।

এটা ঠিক যে, অতীতে জনমত সমীক্ষার ফল সব সময় মেলেনি। কিন্তু ভোটারদের মানসিকতার আন্দাজ পেতে এই ধরনের সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা মোটামুটি ভাবে স্বীকৃত। ২৩-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত গুজরাতের ৫০ বিধানসভায় ২০০ বুথে ৩৬৫৫ জনের মধ্যে করা সমীক্ষার ফল বলছে, এখনই ভোট হলে বিজেপি পেতে পারে ৯১-৯৯টি আসন। ১৮২ আসনের বিধানসভায় সরকার গড়তে প্রয়োজন ৯২টি আসন। কংগ্রেস ৭৮-৮৬টি আসন পেতে পারে। অন্যরা পেরে পারে ৩-৭টি আসন। কংগ্রেস ও বিজেপি উভয়েরই ভোট ৪৩ শতাংশ।

Advertisement

আরও পড়ুন: মোদীর রাজ্য দিয়েই ভারত সফর শুরু করবেন নেতানইয়াহু

জনমতের ইঙ্গিত

দল

অগস্ট

অক্টোবর

নভেম্বর

ভোটপ্রাপ্তির হার (শতাংশে)

বিজেপি

৫৯

৪৭

৪৩

কংগ্রেস

২৯

৪১

৪৩

অন্যান্য

১২

১২

১৪

সম্ভাব্য অাসন

বিজেপি

১৪৪-১৫২

১১৩-১২১

৯১-৯৯

কংগ্রেস

২৬-৩২

৫৮-৬৪

৭৮-৮৬

অন্যান্য

৩-৭

১-৭

৩-৭

বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ গত কালই দাবি করেছিলেন, তাঁরা ১৫০টি আসন পাবেন। তবে একই সঙ্গে মেনে নিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধিতার হাওয়া রয়েছে। কিন্তু সেই হাওয়া যে এতটা, তা আঁচ করতে পারেননি অনেকেই। সমীক্ষার মতে, গ্রামীণ ও আদিবাসী এলাকায় বিপুল ধস নেমেছে বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে। গত সমীক্ষার তুলনায় দক্ষিণ ও মধ্য গুজরাতে যথাক্রমেএ বছর অগস্ট থেকে গুজরাতে সমীক্ষা করছে এবিপি নিউজ। তখন ভোট হলে বিজেপি ১৪৪-১৫২টি আসন পেত। কংগ্রেস পেত মাত্র ২৬-৩২টি। সেই ব্যবধান কমতে কমতে এখন শূন্যে এসে ঠেকেছে।

১১ ও ১৩ শতাংশ ভোট খুইয়েছে তারা। উত্তর গুজরাতে মাত্র ১ শতাংশ ভোট বেড়েছে তাদের। সৌরাষ্ট্র ও কচ্ছে অবশ্য বিজেপি ৩ শতাংশ ভোট বাড়িয়েছে। যে পাতিদার আন্দোলন বিজেপির মাথাব্যথা, তার নেতা হার্দিক পটেলের জনপ্রিয়তা কমলেও জিএসটি-কাঁটা বড় বেগ দিতে পারে বিজেপিকে।

বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র বলেন, ‘‘রাহুল সব তাস খেলে ফেলেছেন। মোদীর সভা এখনও বাকি।’’ কংগ্রেসের প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদীর মতে, ‘‘ভোটের দিশা বলছে, রাহুল আর একটু জোর দিলেই গুজরাত কংগ্রেসের।’’ ঘরোয়া স্তরে শঙ্কিত বিজেপি বলছে, অমিত শাহের কথা মতো ১৫০ তো দূর, গত বারের জেতা ১১৫টি আসন ধরে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ। তার থেকে একটা কমলেও চাপে পড়বেন মোদী-অমিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন