ইনি বলছেন, ‘এক দেশ, এক দল’। উনি বলছেন, ‘এক দেশ, এক ধর্ম’। আপাত ভাবে কথাগুলো ঐক্যের আহ্বানের মতো শোনালেও আসলে দু’জনেই দেদার চিমটি কাটছেন।
‘এক’ নিয়ে আজ অভিনব তরজা দেখল রাজ্যসভা। হল্লা-রাগারাগি হয়নি অবশ্য। হাসিমুখেরই ছড়াছড়ি।
গোড়ার কথাটা ছিল সোজাসাপ্টা— ‘এক দেশ-এক কর।’ অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির দাবি, জিএসটি চালু হলে এমন ব্যবস্থাই তৈরি হবে। রাজ্যসভায় জিএসটি নিয়ে বিতর্কে তা নিয়েই খোঁচাটা দিয়েছিলেন সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি। অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘আপনারা তো শুধু এক দেশ-এক কর ব্যবস্থা নয়, এক দেশ-এক ধর্ম, এক দেশ-এক খাদ্য, এক দেশ-এক সংস্কৃতি, এক দেশ-এক ভোটও চালু করতে চাইছেন।’’
শুনেই হাসির রোল। বুঝতে দেরি হয়নি, ‘এক’ ঢিলে অনেক পাখিই মারলেন ইয়েচুরি। মোদী জমানায় বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় মাংস-বিরোধী অভিযান, দেশে একই রকম
খাদ্যাভাস-সংস্কৃতি চালুর চেষ্টা, ইভিএম কারচুপির অভিযোগ— এ নিয়েই কড়া বার্তা দিলেন জেএনইউ-এর প্রাক্তন ছাত্র নেতা। কিন্তু জেটলিও দুঁদে আইনজীবী। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবিভিপি-র ছাত্র রাজনীতি করেছেন। ডিবেটিং সোসাইটির পুরনো সদস্য। অতএব ইয়েচুরিকে পাল্টা তিনি বলেন, ‘‘কমিউনিস্টরা তো এক দেশ-এক রাজনৈতিক দলে বিশ্বাস করে!’’ ইয়েচুরি হাসতে হাসতে বলেন, ‘‘একটিমাত্র রাজনৈতিক দল হলেও সেই দলে মতপার্থক্যের সুযোগ থাকে। মোদী জমানায় এক দেশ-এক নেতার ব্যবস্থা চালু হয়েছে।’’