আয়কর নোটিস ২৮ বিধায়ককে

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দাখিল সম্পত্তির হলফনামার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিহারে ২৮ জন বিধায়কের আয়ের উৎস নিয়ে সংশয় প্রকাশ করল আয়কর দফতর। তাঁদের বেশির ভাগ শাসক জেডিইউ সদস্য। তালিকায় রয়েছেন বিজেপি ও আরজেডি বিধায়করাও। সকলের মিলিত সম্পত্তির পরিমাণ কমপক্ষে ৩০ কোটি টাকা। আয়কর দফতর জানিয়েছে, ওই বিধায়করা নিজেদের আয়ের উৎস সম্পর্কে সন্তোষজনক তথ্য দিতে পারেননি।

Advertisement

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দাখিল সম্পত্তির হলফনামার ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার পর প্রায় ৫০ জন রাজনৈতিক নেতার সম্পত্তির ‘অস্বাভাবিক’ বৃদ্ধির হার নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। ২০১০ সালের নির্বাচনে তাঁরা যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, সেটির সঙ্গে ২০১৫ সালের হলফনামা মিলিয়ে দেখেন আয়কর আধিকারিকরা। তার পরই ওই নেতাদের কাছে আয়ের উৎস জানতে চাওয়া হয়।

আয়কর দফতর সূত্রে খবর, ২২ জনের কাছে সন্তোষজনক উত্তর মেলে। বাকিরা আয় সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে জেডিইউ বিধায়কের সংখ্যা ১১, আরজেডির ১০, বিজেপির সাত। সবার কাছে কর ফাঁকির জরিমানা চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে। ওই তালিকায় রয়েছেন পটনার বিজেপি বিধায়ক অরুণ সিনহা। তিনি বলেন, ‘‘আমার ছোট পরিবার। তাই বিধায়কের বেতন ও ভাতার টাকা সে ভাবে খরচ হয়নি। সে কারণেই সম্পত্তি বেড়েছে। আমি এ নিয়ে উপযুক্ত মহলে আবেদন জানাব।’’ তালিকায় নাম থাকা আরজেডি বিধায়ক অরুণ যাদব বলেছেন, ‘‘বিনিয়োগে ভাল রিটার্ন পাওয়ায় আয় বেড়েছে। বুদ্ধিমানের মতো বিনিয়োগ করলে আয় তো বাড়বেই।’’ জেডিইউ বিধায়ক সরুফুদ্দিনের বক্তব্য, ‘‘আমি আয়কর দফতরে আরও কিছু নথি জমা দেব। তাতেই সব হিসেব মিলে যাবে।’’

Advertisement

এ দিকে, রেলের হোটেল সংক্রান্ত মামলার তদন্তে এ দিন রাবড়ীদেবীকে ডেকেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কিন্তু হাজির না হওয়ায়, তাঁকে ফের ১৬ অক্টোবর ওই দফতরে ডাকা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন