নোট বাতিলের পরে পুরনো নোটে কালো টাকা জমা করেছেন সন্দেহে ৬০ হাজার জনকে চিহ্নিত করেছে আয়কর দফতর। যাদের মধ্যে ‘যথেষ্ট বিপজ্জনক’ তালিকাভুক্ত ১৩০০ জনের উপর নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু এর বাইরেও যারা বেনামি সম্পত্তিতে কালো টাকা ধরে রেখেছেন, এ বার তাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে আয়কর দফতর।
নগদে ধরে রাখা কালো টাকা নিকেশ করতে পুরনো ৫০০-১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তখনই হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, এর পর তাঁর নিশানায় আসবেন বেনামি সম্পত্তির মালিকরা। সেই কথা রাখতেই অভিযানের জন্য এ বার রাজস্ব দফতর ও আয়কর দফতরকে সবুজ সঙ্কেত দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অর্থ মন্ত্রকের রাজস্ব দফতর ও আয়কর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। নোট বাতিলের পরে কালো টাকার মালিকদের চিহ্নিত করার কাজ এবং স্বেচ্ছায় কালো টাকার কথা জানিয়ে কর-জরিমানা দিয়ে রেহাই পেতে যে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা চালু হয়েছিল, তার অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন মোদী। সেই বৈঠকেই তিনি বেনামি সম্পত্তির মালিকদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে কথা আজ থেকে
আয়কর দফতর সূত্রের খবর, পুরনো নোটে কালো টাকা জমা করেছেন বলে যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে, তাঁদের পরিবারের লোকেদের নামে কোন ব্যাঙ্কে কত টাকা জমা পড়েছে, তারও খোঁজ শুরু হয়েছে। সেই তথ্য থেকেও বেনামি সম্পত্তির মালিকদের সন্ধান মিলতে পারে। সে ক্ষেত্রে বেনামি সম্পত্তি নিষেধাজ্ঞা আইন মেনে কেন্দ্র সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে।
বেনামি সম্পত্তি নিষেধাজ্ঞা আইন ১৯৮৮ থেকে বহাল থাকলেও এত দিন কার্যকর হয়নি। কিন্তু মোদী সরকার সেটি সংশোধন করে আইন আরও কঠোর করে। ১ নভেম্বর থেকে নতুন আইন কার্যকর হয়েছে। আয়কর দফতর সূত্রের খবর, নতুন আইনে এখনও পর্যন্ত ২৪টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৫৫ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আইন অনুযায়ী কর ফাঁকি দিতে অন্য কারও নামে সম্পত্তি কেনা বা ভুয়ো নামে সম্পত্তি কেনা হলে তা বাজেয়াপ্ত করার বিধান রয়েছে এই বিলে।