বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে পাকিস্তানকে সতর্ক করল ভারত। ছবি: রয়টার্স।
কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতির পরেও ‘মানবিকতার খাতিরে’ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফের পাকিস্তানকে সতর্ক করল ভারত। উত্তরের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ থেকে জল ছাড়তে হতে পারে ভারতকে। এর ফলে তাওয়ি নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জম্মুর উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া তাওয়ি হল চন্দ্রভাগার একটি উপনদী। সিন্ধুর উপনদী চন্দ্রভাগা ভারত থেকে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। এ অবস্থায় তাওয়ি নদী প্লাবিত হলে পাকিস্তানেও তার প্রভাব পড়তে পারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, তাই ‘মানবিকতার খাতিরে’ ইসলামাবাদকে আবার সতর্ক করে রাখল নয়াদিল্লি।
সাম্প্রতিক সময়ে জম্মু ও কাশ্মীর-সহ উত্তরের রাজ্যগুলিতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার জম্মু ও কাশ্মীরে বৃষ্টিপাতের জেরে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমেছে। তাতে এখনও পর্যন্ত ৩০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। উদ্ভূত দুর্যোগ পরিস্থিতিতে গত সোমবারই পাকিস্তানকে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আগেভাগে সতর্ক করে দিয়েছিল ভারত। পিটিআইয়ের ওই সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার এবং বুধবারও প্লাবনের সম্ভাবনার বিষয়ে ইসলামাবাদকে সাবধান করে দিয়েছে নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রক।
সূত্রের খবর, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সিন্ধু জল চুক্তি অনুসারে, ভারত এবং পাকিস্তান এ ধরনের সতর্কতামূলক খবর আদান-প্রদান করতে চাইলে তা সিন্ধু জল কমিশনারদের মাধ্যমে করার নিয়ম রয়েছে। পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হত্যালীলার পরে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ করে ভারত সরকার। স্থগিত করে দেওয়া হয় সিন্ধু জলচুক্তিও। তবে উদ্ভূত দুর্যোগের পরিস্থিতিতে ‘মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি’তে পদক্ষেপ করল ভারত।
পিটিআই সূত্রে খবর, জলচুক্তি স্থগিত রাখা হলেও ভারত চাইছে প্লাবনের ফলে সীমান্তের ও পারে যাতে প্রাণহানি এড়ানো যায়। সেই কারণেই সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতির বিষয়ে বার বার আগাম সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তানকে। পিটিআইকে ওই সূত্র বলেছে, “তাওয়ি নদীতে বন্যার প্রবল সম্ভাবনার বিষয়ে আমরা গতকাল (মঙ্গলবার) এবং আজ (বুধবার) আবার সতর্কতা জারি করেছি। ভারতে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে কিছু বাঁধের লকগেট খুলতে হতে পারে।”