Indo Bangladesh Relation

আঞ্চলিক উন্নয়নে অগ্রণী নয়াদিল্লি-ঢাকা

ঢাকায় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, “ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটান এই চারটি দেশের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা খুবই ভাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদাদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২১ ০৭:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দ্বিপাক্ষিক যোগাযোগ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক শ্রী-বৃদ্ধিতেও কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিতে তৈরি হচ্ছে ভারত ও বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক দ্বিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের পর এই তথ্যই উঠে আসছে।

Advertisement

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, ঢাকায় শনিবারের বৈঠকে হাসিনা ভারতীয় নেতৃত্বকে অনুরোধ করেছেন, বাংলাদেশ থেকে ভারত হয়ে নেপাল এবং ভুটানে অতিরিক্ত রেল এবং সড়ক সংযোগের জন্য উদ্যোগী হতে। অন্য দিকে মোদীও জানিয়েছেন, গুয়াহাটি এবং চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সমন্বয় শক্তিশালী করার কাজে সহযোগিতা করুক বাংলাদেশ। এর ফলে অসম এবং আসিয়ান গোষ্ঠীভুক্ত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বাড়বে।

বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এ বারের আলোচনায় বহু প্রতীক্ষিত ‘বিবিআইএন’ অর্থাৎ ভারত, বাংলাদেশ ভুটান এবং নেপালের যান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তিটির দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে কথা হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, এই চুক্তি নিয়ে যত বারই বৈঠক হয়েছে ভারত এবং বাংলাদেশ সর্বদাই এক মঞ্চে থেকেছে। কখনও ভুটান, কখনও বা নেপাল সরে দাঁড়িয়েছে। তাদের একসঙ্গে এনে দ্রুত এই চুক্তিটি রূপায়ণ করার জন্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে এই চারটি দেশের মধ্যে পণ্য এবং যাত্রী চলাচল অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। ভুটান যদি এখনই রাজি না-থাকে, তা হলে আপাতত তিনটি দেশের মধ্যে চুক্তি সই করে ভুটানের জন্য অপেক্ষা করা যেতে পারে বলেই সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

ঢাকায় বিদেশসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, “ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটান এই চারটি দেশের নিজেদের মধ্যে সহযোগিতা খুবই ভাল। মোটর ভেহিক্‌ল চুক্তিটিই প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে গিয়েছে। বাংলাদেশ যাতে তাদের পণ্য ভারতের মধ্যে দিয়ে নেপাল এবং ভুটানে রফতানি করতে পারে সেই ব্যবস্থা করছি আমরা।” অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে রাষ্ট্রগুলির মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর জন্য আঞ্চলিক এবং উপআঞ্চলিক মঞ্চ গড়ার ব্যাপারে কথা হয়েছে মোদী-হাসিনা বৈঠকে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বঙ্গোপাসাগর কেন্দ্রিক উদ্যোগ (অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক তথ্যপ্রযুক্তি-সহ মাল্টিসেক্টরাল) নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়েছে। শক্তিক্ষেত্রে এই দেশগুলির মধ্যে কী ভাবে আদানপ্রদান বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলেছেন ভারত এবং বাংলাদেশের শীর্ষনেতারা।

বৈঠকের পর যে যৌথ বিবৃতিটি প্রকাশিত হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় পণ্য কলকাতা থেকে আগরতলায় পৌঁছনোর জন্য চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করার কাজটি শুরু করে দেওয়া প্রয়োজন। সে জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দরের সহযোগিতা চুক্তির দ্রুত রূপায়ণে জোর দিয়েছে ভারত।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির জন্য (বিশেষত ত্রিপুরা) চট্টগ্রাম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন