তটরক্ষায় ঢাকার সঙ্গে বৈঠক আজ

শুক্রবারেই উপকূলের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ওডিশা ও এ বাংলা উপকূলের দায়িত্বে থাকা অফিসারেরা। বাহিনী সূত্রের খবর, উৎসবের মরসুমে জঙ্গি হানা হতে পারে গোয়েন্দা সূত্রে এই সতর্কতা মিলেছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৭ ০৪:০৩
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

উৎসবের সময়ে জঙ্গি হানার সতর্কতা নিয়ে বাংলা-ওডিশা উপকূলের নিরাপত্তা ইতিমধ্যেই বাড়ানো হয়েছে। শনিবার রহস্যজনক শব্দে কেঁপে উঠেছে দিঘার উপকূল। এই পরিস্থিতিতে উপকূল নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন ভারত ও বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর কর্তারা। আজ, সোমবার নিউ টাউনে উপকূলরক্ষী বাহিনীর আঞ্চলিক সদর দফতরে এই বৈঠকে হাজির থাকবেন দু’দেশের পদস্থ কর্তারা।

Advertisement

উপকূলরক্ষী বাহিনীর মুখপাত্র ডেপুটি কম্যান্ডান্ট অভিনন্দন মিত্র জানান, এই বৈঠকে জঙ্গি দমনে সমন্বয়, মৎস্যজীবীদের সচেতন করা, তথ্যের আদানপ্রদান, বিপর্যয়ে যৌথ উদ্ধারকাজ নিয়েই আলোচনা হবে। বস্তুত, সম্প্রতি এ ব্যাপারে দু’দেশের বাহিনীর অফিসারদের মধ্যে আরও একটি বৈঠক হয়েছিল। তাতে অবশ্য কোনও আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কী ভাবে দুই বাহিনী যৌথ ভাবে কাজ করবে, সেটাই ছিল মূল বিষয়।

শুক্রবারেই উপকূলের নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন ওডিশা ও এ বাংলা উপকূলের দায়িত্বে থাকা অফিসারেরা। বাহিনী সূত্রের খবর, উৎসবের মরসুমে জঙ্গি হানা হতে পারে গোয়েন্দা সূত্রে এই সতর্কতা মিলেছিল। তার ভিত্তিতে নিরাপত্তা বা়ড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা সূত্রের ব্যাখ্যা, বাংলাদেশের সঙ্গে এ দেশের উপকূলীয় সীমান্ত এলাকায় রয়েছে সুন্দরবন। খাঁড়ি, ছোট নদীতে ঘেরা সেই এলাকা অরক্ষিত। উপকূল এলাকা দিয়ে মৎস্যজীবীদের ভেক ধরে ঢুকে পড়তে পারে জঙ্গিরা। সেই জন্যই নিরাপত্তা নিয়ে দু’দেশের ধীবরদের বিশেষ ভাবে সতর্ক করে দেওয়া উচিত।

Advertisement

এ দেশের উপকূলীয় এলাকায় সেই সতর্কীকরণের কাজ নিয়মিতই হয় বলে উপকূলরক্ষী বাহিনীর দাবি। এ বার বাংলাদেশেও কী ভাবে তা করা যায়, সেই বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হবে। সর্বশেষ বৈঠকে এসে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনীর অফিসারেরা জানিয়েছিলেন, সে-দেশে উপকূলরক্ষী বাহিনী খুব বেশি দিন তৈরি করা হয়নি। পরিকাঠামোগত খামতিও রয়েছে।
কী ভাবে তা মেটানো যায় এবং সমন্বয় বাড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করা যায়, সেই ব্যাপারেই আলোচনা করছেন তাঁরা।

উপকূলরক্ষী বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় এবং গভীর নিম্নচাপের জেরে বারবার বিপদে পড়ছেন মৎস্যজীবীরা। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায় এবং সীমান্তের দু’পারে কী ভাবে এই ধরনের অভিযানে সমন্বয় বাড়ানো যায়, তার উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। গত বছর এমনই এক পরিস্থিতিতে প্রথম যৌথ অভিযানে নামেন দু’দেশের উপকূলরক্ষীরা। তাতে আড়াইশোর বেশি ধীবরকে উদ্ধার করা হয়েছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন