India-China

আইন মানুন, চিনকে বার্তা বিদেশমন্ত্রীর

চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-ও বৈঠকে শান্তির কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, অতিমারিগ্রস্ত বিশ্বে সব দেশের উচিত শান্তি এবং সুস্থিতির জন্য সহযোগিতা করা।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২০ ০৫:১৭
Share:

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।—ফাইল চিত্র।

প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে আজ ভিডিয়ো বৈঠকে সামিল হলেন ভারত, চিন এবং রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীরা। রিক গোষ্ঠীর ত্রিদেশীয় বৈঠকের আগেই উদ্যোক্তা রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, দ্বিপাক্ষিক আলোচ্যসূচি থাকবে না। তবে আজ তাঁর বক্তব্যে নাম না করে চিনের উদ্দেশে বার্তা দিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। নিজের বক্তৃতায় তিনি বলেছেন, বিশ্বের ‘নেতৃত্বে থাকা দেশগুলি’ যেন ‘আন্তর্জাতিক আইন মান্য’ করার এবং তার ‘অংশীদার রাষ্ট্রগুলির স্বার্থকে গুরুত্ব’ দেওয়ার ক্ষেত্রে উদাহরণ তৈরি করে।

Advertisement

বিদেশমন্ত্রীর কথায়, ‘আন্তর্জাতিক নীতিগুলিকে মান্যতা দেওয়ার ব্যাপারে ভারত বিশ্বাসী। তবে আজ কেবল তাত্ত্বিক ভাবে ধারণা এবং নীতিকে সমর্থন করলে হবে না। সেগুলিকে হাতে কলমে পালন করতে হবে। বিশ্বের নেতৃস্থানীয় দেশগুলির অবশ্যই উচিত এ ব্যাপারে উদাহরণ তৈরি করা।’ তাঁর কথায়, ‘আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান করা, অংশীদার রাষ্ট্রের বৈধ স্বার্থকে স্বীকৃতি দেওয়া, বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করা এবং সামগ্রিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, আজকের দিনে টেকসই বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলার একমাত্র উপায়।’ চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই-ও বৈঠকে শান্তির কথা বলেছেন। তাঁর কথায়, অতিমারিগ্রস্ত বিশ্বে সব দেশের উচিত শান্তি এবং সুস্থিতির জন্য সহযোগিতা করা।

আরও পড়ুন: লাদাখ সফরে সেনাপ্রধান, সেনা সরাতে রাজি দু’দেশ

Advertisement

রিক গোষ্ঠীভুক্ত এই তিন দেশের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল মার্চ মাসে। মস্কোর উদ্যোগে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল রাশিয়াতেই। কিন্তু কোভিড ১৯ –এর কারণে তা পিছিয়ে যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য। অবশেষে যখন এই বৈঠকটি ভিডিয়োর মাধ্যমে করা স্থির হল, তখন চিন এবং ভারত যুযুধান। এই বৈঠকের ফলে বেজিং-এর সঙ্গে কিছুটা আস্থাবর্ধন সম্ভব হল বলে ঘরোয়া ভাবে জানাচ্ছে সাউথ ব্লক। সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে যার প্রভাব প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

কোভিড পরবর্তী বিশ্বব্যবস্থায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে— এটা গত কয়েক মাস ধরে বলে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জি-২০ ভুক্ত রাষ্ট্রগুলির ভিডিয়ো বৈঠকে তিনি প্রথম এই বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, রাষ্ট্রপুঞ্জ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতো সংগঠনগুলির প্রয়োজন আরও মানবিক হওয়া এবং সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলার নীতি গ্রহণ করা। আজ জয়শঙ্কর বলেন, ‘‘রিকভুক্ত রাষ্ট্রগুলির বড় ভূমিকা রয়েছে আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে রূপদান করার। আমরা আশা করি বহুপাক্ষিকতার সংস্কার সাধনের প্রশ্নে আজ আমরা একমত।’’

আরও পড়ুন: স্বার্থের অঙ্কেই ভারত-চিন দ্বন্দ্ব মেটাতে সক্রিয় রাশিয়া

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন