(বাঁ দিকে) বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এ বার দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। দিন কয়েক আগেই ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত প্রণয় বর্মাকে তলব করেছিল বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে বার্তা দেওয়া হয়েছিল ভারতকে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতা হাসনাত আবদুল্লার ভারতবিরোধী বক্তৃতার প্রেক্ষিতে এই তলব। তিনি তাঁর বক্তৃতায় ‘সেভেন সিস্টার্স’কে ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করে দেওয়ার আহ্বান করেন। শুধু তা-ই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দেবে বাংলাদেশ, এমনও বলেন। তার পরেই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভারত সরকার। সেই প্রক্ষিতে রিয়াজকে তলব করা হয়েছে।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচন হবে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। ওই দিন একই সঙ্গে হবে জুলাই সনদ নিয়ে গণভোটও। তবে নির্বাচন ঘোষণার পরই বাংলাদেশে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। বিভিন্ন নেতাদের মুখে ভারতবিরোধী বক্তৃতাও শোনা যায়। সেই আবহে বাংলাদেশে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ভোটের আগে অশান্তি আরও বাড়তে পারে, সেই আশঙ্কা করে সম্প্রতি বিবৃতি জারি করে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
গত রবিবার বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, ভারতে বসে হাসিনা যে ভাবে তাঁর সমর্থকদের নানা সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াতে আহ্বান জানিয়ে নিয়মিত উস্কানিমূলক মন্তব্য করে চলেছেন, তা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। আসন্ন নির্বাচনের আগে এ নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের। তাই এ বিষয়ে ভারত সরকারের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
ঢাকার বিদেশ মন্ত্রককে ভারতের রাষ্ট্রদূত প্রণয় জানান, বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হোক, এমনটাই চায় ভারত। এ বিষয়ে নয়াদিল্লি সব ধরনের সহযোগিতাও দিতে প্রস্তুত। তার দিন তিনেক পরেই বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।