অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনায় ২৭৪ জনের মৃ্ত্যু হয়েছে। —ফাইল চিত্র।
অহমদাবাদের বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সাহায্য করতে চেয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। কিন্তু ‘না’ বলে দিয়েছে ভারত। সূত্র উল্লেখ করে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। তারা জানিয়েছে, গত সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে ভারতকে সাহায্যের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সে কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তবে মূল ঘটনার প্রায় দু’সপ্তাহ পরে ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার করা হল। রাষ্ট্রপুঞ্জ যখন সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছিল, তখনও ব্ল্যাক বক্সের তথ্য উদ্ধার করা যায়নি। কেন তাতে সময় লাগছে, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছিলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের সাহায্য নিতে চাননি ভারতের তদন্তকারীরা।
আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা (আইসিএও) এর আগেও একাধিক বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে সাহায্য করেছে। ২০১৪ সালে মালয়েশিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা, ২০২০ সালে ইউক্রেনীয় বিমান দুর্ঘটনার তদন্তে আইসিএও সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল। কিন্তু সে সব ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট দেশের তদন্তকারী সংস্থার তরফে সাহায্যের আবেদন জানানো হয়েছিল। তার পরেই আইসিএও তদন্তে হস্তক্ষেপ করে। ভারতের বিমান দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে তা হয়নি। এ ক্ষেত্রে আইসিএও নিজে থেকেই সাহায্যের প্রস্তাব দেয়। এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল দু’জন আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে রয়টার্স। তবে আধিকারিকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সূত্রের খবর, আইসিএও-র তদন্তকারী ভারতেই ছিলেন। তাঁকে এই তদন্তের অগ্রগতির খোঁজ নিতে বলা হয়েছিল। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন। ভারতে এই বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করছে এয়ারক্র্যাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এএআইবি)। তাদের কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। কেন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সাহায্য প্রত্যাখ্যান করা হল, এখনও স্পষ্ট নয়।
গত ১২ জুন, অহমদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই১৭১। তাতে ছিলেন ২৪২ জন। রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি সামনের বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খায় এবং ভেঙে পড়ে। মুহূর্তে তাতে আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৭৪ জনের। বিমানটিতে ভারতীয় ছাড়াও ব্রিটেন, কানাডা এবং পর্তুগালের নাগরিক ছিলেন। ঘটনার পরের দিনই বিমানের একটি ব্ল্যাক বক্স পাওয়া গিয়েছিল বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে। চার দিন পর উদ্ধার করা হয় দ্বিতীয় ব্ল্যাক বক্সটি। তদন্ত চলছে।