মুম্বই বিমানবন্দরে পাঁচ ঘণ্টা আটকে ব্যাঙ্ককগামী বিমান। —ফাইল চিত্র।
মুম্বই থেকে ব্যাঙ্ককগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে বিপত্তি। অভিযোগ, বিমানটি নির্ধারিত সময়ের অন্তত পাঁচ ঘণ্টা পরে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। এর ফলে যাত্রীরাও তীব্র ভোগান্তির শিকার হন। বিমান সংস্থাটি জানিয়েছে, ব্যাঙ্ককগামী বিমানটির বাঁ দিকের ডানার নীচে কিছু খড় আটকে ছিল। সেই কারণে উড়ানে দেরি হয়েছে। কিন্তু কোথা থেকে খড় এল, কেনই বা তা সরিয়ে বিমান ওড়াতে এত সময় লাগল, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
বুধবার সকাল পৌনে ৮টা নাগাদ মুম্বই বিমানবন্দর থেকে ব্যাঙ্ককের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার এআই২৩৫৪। এয়ারবাসের ওই বিমান ছাড়ার আগে ডানার নীচে খড় দেখতে পাওয়া যায়। এর পর দীর্ঘ ক্ষণ মুম্বইতেই বিমানটি দাঁড়িয়েছিল। তা রওনা দেয় বেলা ১টা নাগাদ। শুক্রবার এই সংক্রান্ত ঘটনায় একটি বিবৃতি দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। তাতে বলা হয়েছে, খড় আটকে থাকার কারণে বিমান ছাড়তে দেরি হয়েছে। দ্রুত সংস্থার কর্মীরা এই সমস্যার সমাধান করেছেন। কিন্তু কত ক্ষণ দেরি, ওই বিমানে কত জন যাত্রী ছিলেন, তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করেনি সংস্থা। বিমানের ওঠানামা নজরে রাখে, এমন কিছু সংস্থার তথ্য বলছে, বিমানটি পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে উড়েছে।
এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, মুম্বই বিমানবন্দরে যিনি পরিষেবার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের রিপোর্ট নির্দিষ্ট সময়ে জমা দিতে হবে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিজিসিএ-র কাছে। কী ভাবে বিমানের ডানায় খড় আটকে গেল, তা খতিয়ে দেখা হবে।
কিছু দিন আগেই অহমদাবাদ থেকে লন্ডন গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। বিমানবন্দর ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটি ভেঙে পড়ে। ওই বিমানে ছিলেন ২৪২ জন। ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, এই ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২৭৪। এর পরেই সংস্থার বিরুদ্ধে কড়া হয়েছে ডিজিসিএ। পরিষেবায় একাধিক গলদ ধরা পড়েছে। পদ থেকে সরাতে বলা হয়েছে তিন শীর্ষকর্তাকে। দুর্ঘটনার পর থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যাত্রীদের মধ্যেও।