Indian Tariff

চিন-জাপান থেকে আসা বিশেষ রাসায়নিকের উপর শুল্ক! দেশের শিল্প বাঁচাতে পদক্ষেপ দিল্লির

জল পরিশোধনের কাজে লাগে এমন একটি রাসায়নিক চিন এবং জাপান থেকে আমদানি করে ভারত। এই রাসায়নিকের উপর প্রতি টনে প্রায় ৮৬ হাজার টাকা করে বাড়তি আমদানি শুল্ক নেওয়া হবে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৫ ১৪:০৫
Share:

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। —ফাইল চিত্র।

চিন এবং জাপান থেকে আসা বিশেষ এক প্রকার রাসায়নিকের উপর শুল্ক আরোপ করল নয়াদিল্লি। দেশের শিল্প বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। ওই রাসায়নিক জল পরিশোধনের কাজে ব্যবহার করা হয়। কিছু দিন আগে এই শুল্ক আরোপের প্রস্তাব এসেছিল অর্থ মন্ত্রকের কাছে। এ বার তা কার্যকর করার বিজ্ঞপ্তি জারি হল।

Advertisement

ট্রাইক্লোরো আইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিড জল পরিশোধনের কাজে লাগে। এই রাসায়নিক চিন এবং জাপান থেকে আমদানি করা হয়। অর্থ মন্ত্রকের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এই রাসায়নিকের উপর প্রতি টনে ৯৮৬ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮৬ হাজার টাকা) করে বাড়তি আমদানি শুল্ক নেওয়া হবে। আগামী পাঁচ বছরের জন্য এই শুল্কনীতি প্রযোজ্য থাকবে ট্রাইক্লোরো আইসোসায়ানিউরিক অ্যাসিডের আমদানিতে।

ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ট্রেড রেমেডিজ় (ডিজিটিআর)-এর তরফে জল পরিশোধক এই রাসায়নিকটির আমদানির উপর শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। দেশের বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি তদন্তকারী সংস্থা এই ডিজিটিআর। তাদের বক্তব্য, রাসায়নিক আমদানির ফলে দেশের বাজার মার খাচ্ছে। তাই শুল্ক চাপিয়ে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ন্যায্য পরিবেশ তৈরি করা দরকার। দেশের ব্যবসায়ীদেরও সুযোগ দেওয়া দরকার। এই শুল্ককে ‘অ্যান্টি-ডাম্পিং’ শুল্ক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে, যা ন্যায্য বাণিজ্য নিশ্চিত করার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

Advertisement

অভিযোগ, চিন-জাপানের মতো দেশ থেকে কিছু কিছু আমদানি একপ্রকার চাপিয়ে দেওয়া হয় ভারতের উপর। দেশের বাজারে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এই সংক্রান্ত তদন্তের পরেই সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব দিয়েছিল ডিজিটিআর। তা মেনে অর্থ মন্ত্রক শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিল। বাণিজ্য সংক্রান্ত এমন নানা দিক খতিয়ে দেখে অর্থ মন্ত্রককে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব দিয়ে থাকে ডিজিটিআর। তবে সেই প্রস্তাব মানা হবে কি না, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রেক্ষিতে তা কতটা যুক্তিযুক্ত, সেগুলি বিবেচনার দায়িত্ব মন্ত্রকেরই। সব দিক খতিয়ে দেখে ডিজিটিআরের প্রস্তাবের তিন মাসের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

চিন এবং জাপান, উভয়েই ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক সঙ্গী। দুই দেশ থেকেই বহু পণ্য ভারত আমদানি করে থাকে। আবার ভারত থেকেও বহু পণ্য এই দুই দেশে বিক্রি করা হয়। সম্প্রতি ভারতের শুল্কনীতির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দেগেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, আমেরিকার পণ্যের উপর ভারত বড্ড বেশি কর নেয়। কখনও কখনও শুল্কের পরিমাণ ছাড়িয়ে যায় ১০০ শতাংশের গণ্ডিও। চড়া শুল্কের কারণেই ভারতে সে ভাবে বাণিজ্য করতে পারে না আমেরিকা, অভিযোগ ট্রাম্পের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement