চিনের ইন্ধনে যৌথ মহড়ায় যোগ দিল না নেপাল? ক্ষুব্ধ ভারত

আজ থেকে পুণেতে শুরু হল বিমস্টেকভুক্ত দেশগুলির যৌথ সামরিক মহড়া। কিন্তু তাতে যোগ দিল না নেপালের খড়্গপ্রসাদ ওলি সরকার। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে আসেননি তাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরাও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৯
Share:

আজ থেকে পুণেতে শুরু হল বিমস্টেকভুক্ত দেশগুলির যৌথ সামরিক মহড়া। কিন্তু তাতে যোগ দিল না নেপালের খড়্গপ্রসাদ ওলি সরকার। অনিবার্য কারণ দেখিয়ে আসেননি তাইল্যান্ডের প্রতিনিধিরাও। এই মহড়ার পরে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ভারতেই এই গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলির সেনাপ্রধানদের দু’দিনের সম্মেলন হবে। সেখানেও অনুপস্থিত থাকবেন নেপালের সেনাপ্রধান।

Advertisement

গোটা বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ সাউথ ব্লক। চিনের পরোক্ষ হস্তক্ষেপেই এই ঘটনা ঘটছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু সে কথা এখনই প্রকাশ্যে না এনে যতটা সম্ভব সৌজন্য বজায় রেখে কূটনৈতিক চ্যানেলে নেপালের কাছে নিজেদের উষ্মার কথা প্রকাশ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত সপ্তাহে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপালের চেয়ারপার্সন পুষ্পকুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড এসেছিলেন নয়াদিল্লিতে। তখনই নেপালের এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসে। তাঁকেও বিষয়টি নিয়ে নিজেদের ক্ষোভ জানিয়েছেন ভারতীয় নেতৃত্ব। রবিবার প্রচণ্ড ফিরে দিয়েছেন কাঠমান্ডুতে।

সাম্প্রতিক বিমস্টেক শীর্ষ সম্মেলনে বঙ্গোপসাগর সং‌লগ্ন দেশগুলিকে নিয়ে নিরাপত্তা সহযোগিতার একটি অবিভক্ত পরিসর গড়ে তোলার ডাক দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সার্ক-এ পাকিস্তান থাকার কারণে যে বিষয়গুলি নিয়ে উদ্যোগী হওয়া সম্ভব হয় না সেগুলিকেই বিমস্টেকের মঞ্চে জোর দিতে চাইছে সাউথ ব্লক। কিন্তু বিমস্টেকের অন্যতম সদস্য নেপালের এমন পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত ছিল না নয়াদিল্লি। এই নেপালই দু’বছর আগে ভারতের ডাকে সাড়া দিয়ে উরি হামলার প্রতিবাদে ইসলামাবাদের সার্ক সম্মেলন বয়কট করেছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ডন’ এখন সমাজসেবী! নান্টি-কালার মঞ্চ আলো করে মদন-সহ তৃণমূল নেতারা

নেপালের রাজনৈতিক সূত্রের মতে, শেষ মুহূর্তে ওলির নিষেধাজ্ঞায় বাতিল হয়ে গিয়েছে সে দেশের সেনাপ্রতিনিধিদের পুণে সফর। কূটনীতিকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ওলি সরকার বার্তা দিতে চাইছে যে ভারতের উপর সামরিক এবং বাণিজ্যিক নির্ভরতা কমিয়ে আনা হবে।

আরও পড়ুন:দুর্গা পুজোর জন্য ২৮ কোটি দিলেন মমতা​

২০১৬ সালে চিন সফরে গিয়ে ওলি চিনা বন্দরগুলির সঙ্গে তাঁর দেশের সংযোগের জন্য একটি প্রোটোকল সই করানোর জন্য প্রয়াস শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি সেই প্রোটোকলটির কথাও ঘোষণা করেছে নেপাল। ভারতকে প্রত্যাখ্যান করা এবং চিনকে আরও কাছে টানা—একইসঙ্গে এই দু’টি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়টি নিছকই কাককালীয় নয় বলেই মনে করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন