আরও শক্তিশালী ও মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন কার্বাইন হাতে পেতে চলেছে ভারতীয় সেনা। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে এই কার্বাইন। পুণের ‘আর্মামেন্ট রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্ট্যাব্লিশমেন্ট’ (এআরডিএ)-এর বিজ্ঞানীরা তিন বছর ধরে কঠোর পরিশ্রম ও গবেষণা করে কার্বাইনটি তৈরি করেছেন।
সম্প্রতি পঞ্জাবের জালন্ধরে লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি-তে আয়োজিত ১০৬তম বিজ্ঞান কংগ্রেসে মারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই কার্বাইনের প্রদর্শন হয়।
এআরডিএ-র ডেপুটি ডিরেক্টর বিজ্ঞানী এনআর গাউলির দাবি, রাশিয়ার কাছ থেকে যে কার্বাইন কেনা হয় সেনার জন্য, দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই কার্বাইন তার তুলনায় প্রযুক্তিগত ভাবে অনেক এগিয়ে।
পরীক্ষামূলক ভাবে সেনা এই কার্বাইনের ব্যবহার শুরু করেছে। সবুজ সঙ্কেত মিললেই পাকাপাকি ভাবে সেনার হাতে তুলে দেওয়া হবে এই মারণ অস্ত্র। কী বিশেষত্ব রয়েছে এই কার্বাইনে?
বিজ্ঞানী গাউলি জানিয়েছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে যে কার্বাইন কেনা হয়, তা থেকে প্রতি মিনিটে ৬০০টি বুলেট বার হয়। যা ১৫০ মিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম।
দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ‘জয়েন্ট ভেঞ্চার প্রোটেক্টিভ কার্বাইন (জেভিপিসি)’ থেকে মিনিটে ৮০০টি বুলেট বেরোবে। আর এর রেঞ্জ ২০০ মিটার।
রুশ প্রযুক্তিতে তৈরি কার্বাইন থেকে নির্গত বুলেটের গতি সেকেন্ডে ৫০০ মিটার। সেখানে জেভিপিসি কার্বাইনের বুলেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৬৫০ মিটার।
গুলি চালানোর সময় কার্বাইনে যে ঝাঁকুনি লাগে সেনার সুবিধার কথা মাথায় রেখেই জেভিপিসি কার্বাইনের ক্ষেত্রে সেই ঝাঁকুনি ৬০ শতাংশ কমানো হয়েছে। ফলে অনেক ক্ষণ ধরে বন্দুক চালানোর পরও সেনাদের ক্লান্তি ভাব আসবে না বলেই দাবি গাউলির।
কার্বাইন চালানোর সময় যাতে আওয়াজ না হয়, সে জন্য সাইলেন্সারও লাগানো হয়েছে। কার্বাইনের সামনের দিকে বাড়তি অস্ত্র হিসেবে একটি ছুরি লাগানো রয়েছে। প্রয়োজনে যা দিয়ে দড়িও কাটা যাবে।