(বাঁ দিকে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
তিন বছর আগে উজবেকিস্তানে শাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর শীর্ষসম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘‘এটা যুদ্ধের সময় নয়।’’ শুক্রবার দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে ২৩তম ভারত-রাশিয়া শীর্ষবৈঠকে পুতিনের পাশে বসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন্তব্য, ‘‘নিরপেক্ষ নয়, ভারত শান্তির পক্ষে।’’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দিয়েছিলেন পুতিন। তার পরে এই প্রথম বার ভারত সফরে এলেন তিনি। মোদীর পাশে বসে তিনি বলেন, ‘‘ভারতকে নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ করতে প্রস্তুত রাশিয়া। দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্র প্রসারিত করার লক্ষ্যে অনেক চুক্তি স্বাক্ষর করছি আমরা।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একাধিক বার দাবি করেছেন, তাঁর হুমকির জেরে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমিয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে পাশাপাশি বসে দুই রাষ্ট্রনেতার বার্তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দু’দিনের ভারত সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিল্লির পালমে ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে পুতিনের উড়ান। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে প্রোটোকল ভেঙে হাজির হয়েছিলেন মোদী। করমর্দন এবং সৌজন্য বিনিময়ের পরে একই গাড়িতে সওয়ার হন দুই রাষ্ট্রনেতা। রাতে প্রধানমন্ত্রীর ৭ লোককল্যাণ মার্গের বাসভবনে পুতিন তাঁর সম্মানে আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন। শুক্রবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান মোদী-পুতিন। এর পরে তাঁরা দু’জনে একসঙ্গে যান মহাত্মা গান্ধীর সমাধিস্থল রাজঘাটে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।
পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ ২৫ বছরের সম্পর্কের উল্লেখ করে মোদী জানান, ২০০১ সালে গুজরাতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর সফরসঙ্গী হিসেবে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন তিনি। সে কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘‘আমার জন্য, এটি আনন্দের বিষয় যে আপনার সঙ্গে আমার সম্পর্ক দীর্ঘ ২৫ বছরের।’’ ২০০০ সালে পুতিন তাঁর ভারত সফরের সময় দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারির নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন বলেও জানান মোদী।