প্রাক্তন ছাত্রকে নিয়ে গর্বিত, জানাল অভিনন্দনের স্কুল

আর গর্বে বুক ভরে উঠেছে বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নাল-এর। কারণ শত্রুর ডেরায় গিয়েও এ রকম নির্ভীকতার পরিচয় দেওয়া অভিনন্দন যে তাদের প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তনী!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০২:০১
Share:

উচ্ছ্বাস: বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের দেশে ফেরার আনন্দে। আমদাবাদের এক স্কুলে। ছবি: রয়টার্স।

পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়েও এক চুলও টলেনি তাঁর আত্মবিশ্বাস। পড়শি দেশ থেকে ভারতীয় বায়ুসেনার সেই উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের দেশে ফেরা নিয়ে একজোট হয়ে প্রার্থনা চালিয়েছে গোটা দেশ। শুক্রবার রাতে ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছেন। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে গোটা দেশ। আর গর্বে বুক ভরে উঠেছে বেঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নাল-এর। কারণ শত্রুর ডেরায় গিয়েও এ রকম নির্ভীকতার পরিচয় দেওয়া অভিনন্দন যে তাদের প্রতিষ্ঠানেরই প্রাক্তনী!

Advertisement

সংবাদমাধ্যমে তাঁর আটকে পড়ার খবর সম্প্রচারের পরপরই স্কুলের গেটের বাইরে লাগানো হয় অভিনন্দনের একটি বিরাট পোস্টার। লেখা, ‘ব্রাভো! উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান’। পোস্টারটিতে তাঁর সুস্থ ভাবে ফেরার প্রার্থনা করা হয়েছে। সব শেষে লেখা ‘জয় হিন্দ’। আগে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় ডিআরডিও-তে পড়লেও একাদশ শ্রেণিতে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় নাল-এ ভর্তি হয়েছিলেন অভিনন্দন। ১৯৯৮-১৯৯৯ পর্যন্ত ওই স্কুলের ছাত্র ছিলেন। অভিনন্দনের স্ত্রী তনভিও এই স্কুলেই পড়েছেন।

সংবাদমাধ্যমে অভিনন্দনের খবরটি শোনার সঙ্গে সঙ্গে ওই স্কুলের শিক্ষিকা দুর্গা শিবকুমারকে খবরটি দেন তাঁর আমেরিকাবাসী ছেলে এম এস আনন্দ শঙ্কর। স্কুলে এমএস-এর জুনিয়র ছিলেন অভিনন্দন। এখন দুর্গার স্মৃতি খানিকটা ধূসর হয়ে এলেও ছেলের বিবরণে ‘বীর’ প্রাক্তন ছাত্রের মুখটা মনে পড়ে যায় দুর্গার। তাঁর কথায়, ‘‘আমি অভিনন্দনের ক্লাস না নিলেও ওর ছোটবেলার সেই গোলগাল মুখটা মনে পড়ছে। খেলাধুলো এবং বাকি সমস্ত কিছুতে ওকে সব সময়ে পাওয়া যেত।’’

Advertisement

দুর্গা জানান, স্কুলে ঢোকার পরপরই শিক্ষকদের চোখে পড়ে গিয়েছিলেন অভিনন্দন। এর পর পাঁচটি হাউসের মধ্যে একটির ‘লিডার’-এর দায়িত্বও দেওয়া হয় তাঁকে। অভিনন্দন যখন এই স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তখন এই শাখায় ছিলেন না এখনকার প্রধান শিক্ষক মনোহরন পিল্লাই। তবে বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর গল্প শুনে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তিনিও। মনোহরনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘যে স্কুলের পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছি, সেই স্কুলেই এ রকম এক জন বীর বায়ুসেনার পাইলট তৈরি হয়েছে তা জেনেই চোখে জল এসে গিয়েছিল।’’ শুক্রবার সকালে অভিনন্দনের সুস্থ ভাবে দেশে ফেরার জন্য একটি বিশেষ প্রার্থনা সভারও আয়োজন করা হয় স্কুলে।

অভিনন্দন তাঁদের প্রাক্তনী জানতে পেরেই অ্যালবাম ঘেঁটে তাঁর পুরনো ছবি বার করার কাজে নেমে পড়েন স্কুলের সকলে। অভিনন্দনের ছাত্রাবস্থার বেশ কয়েকটি ছবি উদ্ধারও করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অভিনন্দন সুস্থ শরীরে ভারতে ফেরায় খুশি স্কুলের সকলেই। মনোহরন জানান, অভিনন্দন প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরে তাঁর স্কুলের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হবে এই ‘বীর প্রাক্তনীকে’।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন