রাজনীতির প্রয়োজনে যুদ্ধ চাই না, দেশের প্রয়োজনে আমরা রয়েছি: মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘রাজনীতির প্রয়োজনে আর একটা নির্বাচন জেতার জন্য যুদ্ধ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৯ ০০:২১
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

যুদ্ধের আবহে দেশ যখন সরগরম, তখন সরাসরি শান্তির বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘রাজনীতির প্রয়োজনে আর একটা নির্বাচন জেতার জন্য যুদ্ধ আমরা চাই না। আমরা শান্তি চাই।’’

Advertisement

পুলওয়ামা-কাণ্ডের পরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অতর্কিত হানা এবং তার পর থেকেই যে ভাবে গোটা দেশে কার্যত যুদ্ধ-পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বৃহস্পতিবার সরাসরি তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘‘প্রথমদিন থেকেই শুনছি, শত্রুপক্ষের ৩০০-৩৫০ লোক মারা গিয়েছেন। কত কী, আদৌ কেউ মারা গিয়েছেন কি না, আমরা জানতে চাই। আরও জানতে চাই, বোমা কোথায় ফেলা হয়েছিল, আদৌ বোমা ঠিক জায়গায় পৌঁছেছিল কি না।’’

এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন বিদেশি সংবাদপত্রের নাম উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘তারা বলছে, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি। বোমাটা অন্য জায়গায় পড়েছে, মিস হয়েছে। মানুষ মারা যায়নি। কেউ বলছে একজন মারা গিয়েছেন। তো সত্যটি কী, এটা তো মানুষ জানতে চাইতেই পারে। আমরা বাহিনীর সঙ্গে রয়েছি। কিন্তু বাহিনীকে সত্যি কথাটা বলার সুযোগ দেওয়া উচিত। দেশের লোকেরও সত্যিটা জানা উচিত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বিপদ বুঝে নথি গিলে ফেলেন অভিনন্দন

বুধবারই দিল্লিতে বিরোধী দলগুলির বৈঠক সেরে এসেছেন মমতা। সেখানেও জাতীয় রাজনীতি নিয়ে ‘সঙ্কীর্ণ রাজনীতি’ করার জন্য আঙুল তোলা হয়েছে দেশের শাসক দল বিজেপির দিকে। এ দিনও তাঁর অভিযোগ, পুলওয়ামার ঘটনা এবং তার পরে ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রত্যাঘাত, কোনও কিছু নিয়েই প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলগুলির সঙ্গে আজ পর্যন্ত একটি বৈঠকও করেননি।

আরও পড়ুন: আজ মুক্তি অভিনন্দনের, ঘোষণা ইমরানের

মমতা বলেন, ‘‘দেশের পক্ষে আমরা সবাই। দেশমাতৃকাকে আমরা সবাই ভালবাসি। জওয়ানদের রক্তে রাজনীতি করা আমরা ভালবাসি না। জওয়ানদের রক্তের দাম অনেক বেশি। তাঁরা আমাদের গর্ব। তাঁরা সীমান্তে লড়াই করেন। কিন্তু ভোট বাক্সে ভোটের ফায়দা তোলার জন্য তাঁদের নিয়ে রাজনীতি করে কেউ কেউ। এটার নিন্দা করি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘রাজনীতির প্রয়োজনে আমরা যুদ্ধ চাই না। দেশের প্রয়োজনে হলে আমরা দেশের সঙ্গে রয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন