Missile Defence System

ওয়াশিংটন, মস্কোর পর এ বার দিল্লিও ঢাকা পড়বে ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা বর্মে

শত্রু ক্ষেপনাস্ত্র এলাকায় ঢোকার আগেই তাকে রাডার দিয়ে চিহ্নিত করে পাল্টা স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে এই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ১৫:২৪
Share:

মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্রধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রের মহড়া। ছবি- এএফপি

ঠান্ডা যুদ্ধের সময় সম্ভাব্য রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হানা থেকে দেশের রাজধানীকে বাঁচাতে ‘ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা বলয়’ তৈরির কথা প্রথম ভেবেছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রেগন। কয়েক বছর পর ওয়াশিংটনকে ঘিরে তৈরি হয়েছিল এই সুরক্ষা বলয় যাকে ‘মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম’ নামেই চিহ্নিত করেন সমর বিশেষজ্ঞরা। ছাদ যেমন বৃষ্টির হাত থেকে আমাদের বাঁচায়, সেই ভাবেই শত্রু ক্ষেপণাস্ত্রের হামলা থেকে কোনও একটি নির্দিষ্ট জায়গাকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব এই ক্ষেপণাস্ত্ররোধী বলয়ের মাধ্যমে। শত্রু ক্ষেপণাস্ত্র এলাকায় ঢোকার আগেই তাকে রাডার দিয়ে চিহ্নিত করে পাল্টা স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করে এই অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ওয়াশিংটন দিয়ে শুরু হলেও এই ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থা এখন ঘিরে আছে মস্কো শহরকেও। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুর্ভেদ্য রাখা হয়েছে ইজরায়েলের শহরগুলিকেও।

Advertisement

সেই এলিট আধুনিক প্রতিরক্ষা বলয় এখন নয়াদিল্লিকেও রক্ষা করবে। আমেরিকার কাছ থেকে নতুন প্রযুক্তি ও যুদ্ধাস্ত্র কেনার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে মিলেছে এমনই খবর। আমেরিকার কাছ থেকে এই প্রযুক্তি কিনতে ভারতের খরচ হবে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটির নাম ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম-টু।

এত দিন রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমেই সুরক্ষিত রাখা হত ভারতের রাজধানীকে। তবে তা মান্ধাতার আমলের বলে মনে করছে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। তাই আসছে নয়া মার্কিন সুরক্ষা। নতুন ব্যবস্থায় এক লহমায় ধ্বংস করে ফেলা সম্ভব শত্রুপক্ষের বিমান, ড্রোন, এমনকি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রকেও। মোকাবিলা করা যাবে ৯/১১ হামলার মত আক্রমণেরও । প্রাথমিক ভাবে এর আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে রাষ্ট্রপতি ভবন, সংসদ, নর্থ ব্লক ও সাউথ ব্লককে।

Advertisement

আরও পড়ুন: ছাগলও ‘মাতা’, হিন্দুরা মাংস ছাড়ুন, চন্দ্র বোসের মন্তব্য সামলাতে আসরে তথাগত

এছাড়া ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থার (ডিআরডিও) বিজ্ঞানীরাও দ্বিস্তরীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করার মুখে। বায়ুমণ্ডলে ঢোকার আগেই তা ধ্বংস করতে পারবে পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্রকেও। নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক কম খরচে এই অসাধ্যসাধন করেছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে আরও দৃঢ় বর্মে সুরক্ষিত হওয়ার পথে ভারতের রাজধানী।

আরও পড়ুন: পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে উদ্ধার টিপু সুলতানের ১০০০ যুদ্ধ-রকেট!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন