দিনে দিনে শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ গোটা বিশ্বের সমীহের কারণ হয়ে উঠছে ভারতীয় নৌবাহিনী। এই রিপোর্ট নাকি মার্কিন গোয়েন্দাদের। পেন্টাগন এবং হোয়াইট হাউজে পৌঁছনো এক গোয়েন্দা রিপোর্টে ভারতীয় নৌবাহিনীর দ্রুত শক্তিবৃদ্ধির কথা গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে ভারতীয় নৌবাহিনীর শক্তিবৃদ্ধিতে আমেরিকা নাকি বেশ খুশি। চিনের মোক্ষম প্রতিদ্বন্দ্বী এশিয়ার বুকেই প্রস্তুত, মনে করছে ওয়াশিংটন।
এক ঝলকে দেখে নিন গ্যালারি:
ভারতের ‘ভয়ঙ্কর’ সাবমেরিন বাহিনী
ভারতীয় নৌবাহিনী সাবমেরিনের সংখ্যা বাড়ানোয় সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন সাবমেরিন নৌবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যে কোনও আধুনিক এবং বৃহৎ নৌবাহিনীর জন্যই বড়সড় সাবমেরিন বহর তৈরি রাখা অত্যাবশ্যক। সে কথা মাথায় রেখেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এই পদক্ষেপ। আরও একটি ইতিবাচক দিক হল, অন্তর্জাতিক মহলে ভারতীয় নৌবাহিনীর মর্যাদা বদল। আগে ভারতের নৌবাহিনীকে বলা হত, ‘ক্রেতা নৌবাহিনী’। কারণ যুদ্ধজাহাজ থেকে সাবমেরিন-সহ অনেক কিছুই অন্য দেশের কাছ থেকে কিনতে হত ভারতকে। এখন সে সব ভারতেই তৈরি হচ্ছে। তাই বিশ্ব মনে করছে ভারতীয় নৌবাহিনী এখন ‘নির্মাতা নৌবাহিনী’।
যে সব ডুবেজাহাজের কারণে ভারতীয় নৌবাহিনী এখন গোটা বিশ্বের নজর কাড়ছে, তার মধ্যে অনেকগুলি বিদেশ থেকে কেনা। রাশিয়া এবং জার্মানি থেকে কেনা মোট ১৪টি ডিজেল-ইলেকট্রিক অ্যাটাক সাবমেরিন ভারতীয় নৌবাহিনীতে রয়েছে। সেগুলির বেশ কয়েকটিকে আধুনিকীকরণের মাধ্যমে আরও ভয়ঙ্কর করে তোলা হয়েছে। রাশিয়া থেকে লিজ নেওয়া নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস চক্র রয়েছে। অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ভারতে তৈরি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী নিউক্লিয়ার সাবমেরিনগুলির অন্যতম এই অরিহন্ত থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে পরমাণু হামলা চালানো যায়। এর চেয়েও শক্তিশালী আইএনএস অরিদমনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষ পথে। ভারত-ফ্রান্স যৌথ উদ্যোগে তৈরি হচ্ছে কালভারি শ্রেণির আরও বেশ কিছু অ্যাটাক সাবমেরিন। প্রতিরক্ষা বিশারদরদের দাবি, এই আইএনএস কালভারি শ্রেণির ডুবোজাহাজগুলি হতে চলেছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষিপ্র অ্যাটাক সাবমেরিনগুলির অন্যতম।