Amit Shah

অরুণাচলের দেশপ্রেম, চিনকে খোঁচা অমিতের

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৩৭
Share:

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে স্বাগত জানালেন অরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ড‌ু।—ছবি পিটিআই।

এক দিকে সিএএ-বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিবাদ। অন্য দিকে তাঁর সফর নিয়ে চিনের কড়া আপত্তি। তার মধ্যেই অরুণাচল প্রদেশের ৩৪তম পূর্ণ রাজ্য দিবসের অনুষ্ঠানে ইটানগরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করলেন, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে জনজাতিদের অধিকার অক্ষুণ্ণ থাকবে। কোনও ভাবেই প্রত্যাহার করা হবে না ৩৭১ নম্বর ধারা। আগামী চার বছরে উত্তর-পূর্ব থেকে মুছে যাবে সন্ত্রাস ও আন্তঃরাজ্য বিভেদ। পাশাপাশি, পরোক্ষে চিনকে বিঁধে তিনি জোর দিলেন অরুণাচলবাসীর ‘দেশপ্রেম’-এর উপরে।

Advertisement

অমিত শাহ আজ ইটানগরের ইন্দিরা গাঁধী উদ্যানে আসার আগে থেকেই বিভিন্ন ছাত্র ও নাগরিক সংগঠন বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। প্রতিবাদকারীরা স্লোগান তোলেন, ‘মোটা ভাই গো ব্যাক’। অবশ্য নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের মাঠের ধারেকাছে আসতে দেননি।

অমিত শাহ বলেন, ‘‘কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করার বিষয় ভিন্ন ছিল। তার সঙ্গে উত্তর-পূর্বের কোনও সম্পর্ক নেই। কিছু রাজনৈতিক দল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘২৭ জনজাতি, ১২০ উপ-জনজাতির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, অধিকার রক্ষা ভারত সরকারের দায়িত্ব, কর্তব্য। উত্তর-পূর্বের সংস্কৃতি ছাড়া ভারতের সংস্কৃতি অসম্পূর্ণ। বড়ো চুক্তি, রিয়াংদের পুনর্বাসন, বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের অস্ত্র সমর্পণ-সহ কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রয়াস তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘‘২০২৪ সালে যখন ফের ভোট চাইতে আসব, তত দিনে গোটা উত্তর-পূর্ব সন্ত্রাস ও সীমানা বিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে যাবে।’’

Advertisement

এ দিকে চিন আজ সকালেই অমিতের অরুণাচল সফরের প্রতিবাদ করে বলে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর ভারত-চিন সম্পর্কের বিশ্বাস নষ্ট করছে। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র গেং সুয়াং বলেন, ‘‘তিব্বত অঞ্চলের দক্ষিণ অংশের অধিকার নিয়ে চিনের অবস্থান স্পষ্ট। চিন কখনওই তথাকথিত অরুণাচলপ্রদেশের অস্তিত্ব স্বীকার করে না। সেখানে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর চিনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্বের বিরোধী। তা দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গের সামিল। এই ধরণের কাজ সীমান্ত সমস্যা আরও বাড়াবে।’’

চিনের এই আপত্তির কথা মাথায় রেখেই শাহ পরোক্ষে চিনকে পাল্টা কটাক্ষ করেন, ‘‘গোটা দেশ ঘুরে দেখেছি একমাত্র অরুণাচলের মানুষ একে অন্যের সঙ্গে দেখা হলে ‘জয় হিন্দ’ বলেন। সারা দেশের কাছে অরুণাচল দেশপ্রেমের উদাহরণ।’’ ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকও এ দিন চিনের বক্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে। মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার বলেন, ‘‘অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অবিচ্ছেদ্দ্য অঙ্গ। ভারতীয় নেতারা দেশের অন্য রাজ্যে যেমন যান, সেভাবেই অরুাচলেও যান। এ ব্যাপারে আমাদের মনোভাব স্পষ্ট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন