পাকিস্তান থেকে আসা চিঠি বা পার্সেল ঢুকতে দেওয়া হবে না ভারতে। — প্রতীকী চিত্র।
পাকিস্তান থেকে ডাকযোগে আর কোনও চিঠি বা পার্সেল ভারতে পাঠানো যাবে না। শনিবার ভারতীয় যোগাযোগ মন্ত্রক থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আকাশপথে বা স্থলপথে পাকিস্তান থেকে সব ধরনের চিঠি এবং পার্সেলের এ দেশে ঢুকতে দেওয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বাণিজ্য মন্ত্রকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পাকিস্তানি পণ্য আর আমদানি করা যাবে না এ দেশে। শনিবার সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, পাকিস্তানের পতাকা থাকা কোনও পণ্যবাহী জাহাজ ভারতীয় বন্দরে প্রবেশ করতে পারবে না। পহেলগাঁও কাণ্ড পরবর্তী উত্তেজনার মাঝে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে এ বার আরও এক কূটনৈতিক পদক্ষেপ করল ভারত।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের হত্যালীলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। তাঁদের মধ্যে ২৫ জনই ছিলেন পর্যটক। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সন্দেহ, ওই ঘটনায় সীমান্তপারের যোগ রয়েছে। যদিও ওই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে যাচ্ছে পাকিস্তান। উদ্ভূত এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ কূটনৈতিক পদক্ষেপ করেছে ভারত। সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত রাখা থেকে শুরু করে, পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল, পাকিস্তানের জন্য ভারতীয় আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া-সহ একের পর এক পদক্ষেপের ঘোষণা করা হয়েছে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে অটারী সীমান্তও।
পাকিস্তানও গত এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় ধরে ভারতের বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করেছে। তার মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয় পদক্ষেপের অনুরূপই। তালিকায় রয়েছে ভারতীয়দের জন্য ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত, ভারতীয় উড়ান সংস্থার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত। বস্তুত, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। তারা জানিয়েছিল, কোনও তৃতীয় দেশ হয়েও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য করবে না তারা। এই আবহে শুক্রবার ভারতীয় বাণিজ্য মন্ত্রক জানায়, পাকিস্তানে তৈরি কোনও পণ্য সরাসরি বা ঘুরপথে ভারতে আমদানি করা যাবে না। বস্তুত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর থেকেই পাকিস্তান থেকে ভারতের আমদানি প্রায় তলানিতে চলে গিয়েছিল। সরাসরি আমদানি ছিল খুবই সামান্য। তবে দুবাই হয়ে ঘুরপথে কিছু পাকিস্তানি পণ্য আমদানি হত। সেটিও এ বার বন্ধ হচ্ছে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে।