Israelii Heron Drone

‘অপারেশন সিঁদুর’ ইজ়রায়েলি ড্রোনে ভরসা বাড়িয়েছে, সেনার তিন শাখায় আসছে আরও হেরন

উপগ্রহ-যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সেন্সর যুক্ত এই ইজ়রায়েলি চালকহীন বিমানে সফল ভাবে ‘আকাশ থেকে ভূমি’ ক্ষেপণাস্ত্র বসিয়েছে ভারত। যা ‘অপারেশন সিঁদুর’ পর্বে সক্ষমতা প্রমাণ করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৬
Share:

হেরন ড্রোন। ছবি: সংগৃহীত।

‘অপারেশন সিঁদুর’-পর্বে তার ক্ষমতা দেখে সন্তুষ্ট সেনাকর্তারা। তাই ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখার (স্থলসেনা, নৌসেনা এবং বায়ুসেনা) জন্য ইজ়রায়েল থেকে আরও নতুন সংস্করণের হেরন ড্রোন কেনার তৎপরতা শুরু করল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সেগুলিকে এ বার ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রে সজ্জিত করা হবে বলে সেনা সূত্রের খবর।

Advertisement

এক দশকেরও বেশি সময় আগে হেরন-১ গোত্রের ড্রোন ইজ়রায়েল থেকে কিনেছিল ভারত। ২০২১ সালে ওই ড্রোনের আরও আধুনিক এবং উন্নত সংস্করণ ‘হেরন টিপি’ এবং ‘হেরন টিপি এক্সপি’ ভারতে এসেছিল। দূরপাল্লার নজরদারির পাশাপাশি উপগ্রহ-যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সেন্সর যুক্ত এই চালকহীন বিমানে ‘আকাশ থেকে ভূমি’তে ছোড়ার উপযোগী ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যায়। বসানো যায় লেজার-নিয়ন্ত্রিত নিশানা করার সরঞ্জামও।

সেই সুযোগের সদ্বব্যবহার করে বিনা ঝুঁকিতে পড়শি দেশের আকাশসীমা অতিক্রম করে হামলা চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে ভারতীয় সেনা। অপারেশন সিঁদুর-পর্বে হেরন সাফল্যের সঙ্গে সেই সক্ষমতা প্রমাণ করায় এ বার হেরনে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্পাইক-এনএলওএস’ (নন লাইন অফ সাইট) বসানোর পরিকল্পনা করেছে স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা। এই যৌথ পরিকল্পনার নাম ‘প্রজেক্ট চিতা’। এর পাশাপাশি নতুন হেরন ড্রোনগুলিতে আরও উন্নত গোয়েন্দা নজরদারি সরঞ্জাম বসানো হবে বলেও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওই সূত্র জানিয়েছে। হেরনের এই নতুন সংস্করণ টানা ৩০ ঘণ্টা উড়তে পারে। ঘাঁটি থেকে বহু দূরে গিয়ে প্রায় ৪৫ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ে ভূপৃষ্ঠের বিস্তীর্ণ এলাকার ছবিও স্পষ্ট করে তুলে ধরতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement