Manipur Violence

‘মণিপুরে মানবাধিকার লঙ্ঘন’! আমেরিকার রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলল বিদেশ মন্ত্রক

প্রতি বছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার বিদেশ দফতর। সেই রিপোর্টে সংবাদ সংস্থা বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দফতরে তল্লাশির প্রসঙ্গও এসেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই তল্লাশি চলেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ২১:৪৯
Share:

আমেরিকার বিদেশ দফতরের রিপোর্টে উঠে এসেছে মণিপুরের প্রসঙ্গ। — ফাইল চিত্র।

মণিপুরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ হয়েছে! রিপোর্ট দিয়ে দাবি করেছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। সেই রিপোর্টকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে অভিযোগ করল ভারত। জানাল, তারা এ দেশকে ঠিক ভাবে বোঝেইনি।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের তরফে সাপ্তাহিক সাংবাদিক বৈঠক করা হয় নয়াদিল্লিতে। সেখানে বৃহস্পতিবার মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘এই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট এবং ভারতের বিষয়ে ভুল বোধই এতে প্রতিফলিত হয়েছে। আমার এটায় মূল্য দিচ্ছি না। আপনাদেরও একই আর্জি জানাচ্ছি।’’

সম্প্রতি আমেরিকার বিদেশ দফতর ‘২০২৩ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস: ইন্ডিয়া’ প্রকাশ করেছে। তাতে দাবি করা হয়েছে, মণিপুরে কুকি এবং মেইতেইদের মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়েছে, তাতে মানবাধিকার ‘লঙ্ঘিত’ হয়েছে। রিপোর্টে এ-ও বলা হয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ঘটনাকে লজ্জাজনক’ বলেছেন। এই ঘটনায় পদক্ষেপ করার কথাও বলেছেন।

Advertisement

প্রতি বছর এই রিপোর্ট প্রকাশ করে আমেরিকার বিদেশ দফতর। সেই রিপোর্টে সংবাদ সংস্থা বিবিসির দিল্লি এবং মুম্বইয়ের দফতরে তল্লাশির প্রসঙ্গও এসেছে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সেই তল্লাশি চলেছিল। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি। তার পরেই এই পদক্ষেপ। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘আয়কর দফতরের তরফে বলা হয়েছিল, বিবিসির করদানে অনিয়মের কারণে তল্লাশি চলেছে। কিন্তু সাংবাদিকদেরও তল্লাশি করে জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, যাঁরা সংস্থার আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত নন।’’

রিপোর্টে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের প্রসঙ্গও উঠেছে। ‘মোদী’ পদবি নিয়ে মন্তব্যের কারণে তিনি সাংসদ পদ খুইয়েছিলেন। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল গুজরাতের এক আদালত। পরে সুপ্রিম কোর্ট স্বস্তি দিয়েছিল রাহুলকে। সাংসদপদও ফেরত পান। রিপোর্টে ভারতের কিছু ইতিবাচক দিকও তুলে ধরা হয়েছে। শ্রীনগরে গত বছর শিয়া ধর্মাবলম্বী মুসলমানদের মহরমের মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল প্রশাসন। সেই প্রসঙ্গও উঠে এসেছে রিপোর্টে। জানানো হয়েছে, ১৯৮৯ সালে নিষিদ্ধ করার পর এই প্রথম সরকার আবার শিয়াদের অনুমতি দেয় মিছিলের। তবে কোনও নিষিদ্ধ সংগঠনের স্লোগান বা প্রতীক ব্যবহার করতে বারণ করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন