পাকিস্তানের বালাকোটে এখানেই বোমা ফেলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এলাকায় পাক সেনা ও সাংবাদিকেরা। মঙ্গলবারের ছবি। এএফপি
আনুষ্ঠানিক ভাবে সংখ্যাটা প্রকাশ করা না-হলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর কিছু সূত্রের দাবি, পাকিস্তানে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযানে তিনশোর বেশি জঙ্গি নিহত। উত্তর-পূর্ব পাকিস্তানের বালাকোটে সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেওয়া গিয়েছে জইশ জঙ্গিশিবির। বিদেশমন্ত্রী নিজে অবশ্য কোনও সংখ্যা জানাননি।
বালাকোট লাগোয়া গ্রামগুলিও এ দিন ভোররাতে প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে উঠেছিল বলে জানা গিয়েছে। কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা সংবাদমাধ্যমকে জানান, তাঁদের এলাকায় এক জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর তাঁরা জানেন না।
গ্রামবাসীদের বক্তব্য, ওঁরা ভেবেছিলেন ভূমিকম্প হচ্ছে। ভুল ভাঙে আলো ফোটার পরে। বুঝতে পারেন, বিমান অভিযান হয়েছে। বালাকোটের পাহাড়ি এলাকায় জাবা গ্রামে যেখানে বোমা ফেলেছে ভারতের যুদ্ধবিমানগুলি, সেই জায়গাটিতে ভোর হওয়ার পর গিয়েছিলেন অনেক গ্রামবাসী। তাঁদের মধ্যে একজন ২৫ বছর বয়সি মহম্মদ আজমল। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ‘‘ওখানে গিয়ে দেখলাম, বেশ কিছু গাছ ভেঙে পড়েছে। ক্ষতি হয়েছে একটা বাড়ির। সেখানে বোমাগুলি ফেলা হয়েছে, সেখানে বড় বড় চারটে গর্ত।’’ ৪৬ বছরের ফিদা হুসেন শাহ নামে এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘আমরা বোমার টুকরো পড়ে থাকতে দেখেছি। একজন বাড়িতে ভিতরে ঘুমোচ্ছিলেন। সেই সময় জানলা ভেঙে বোমার টুকরো লেগে তিনি আহত হন।’’
আরও পড়ুন: ভারতকে ফের হুমকি, সেনা তৈরি ইমরানেরও
স্থানীয়রাও বলছেন, বালাকোট সংলগ্ন গ্রামগুলিতে বহুদিন ধরে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা যথেষ্ট তৎপর। ওই এলাকায় পাহাড়ের উপরে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী বলেন, ‘‘ওই মাদ্রাসাটি জইশ-ই-মহম্মদ চালায়।’’ আর এক গ্রামবাসীর কথায়, ‘‘আমি এই এলাকাতেই থাকি। পাহাড়ের উপরে জইশের প্রশিক্ষণ শিবির ছিল। বহু বছর আগে সেটিকে মাদ্রাসা করা হয়। ওই মাদ্রাসার ধারেকাছে কেউ যেতে পারে না।’’ গ্রামবাসীদের ধারণা, ভারতীয় বায়ুসেনার লক্ষ্যে ওই মাদ্রাসাও ছিল। কিন্তু বোমাটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পড়েছে।