হানার কথা জানতেন না খোদ মন্ত্রী! উঠছে প্রশ্ন

দেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তের কথা তিনি আগে জানতে পেরেছিলেন! কথায় কথায় বিরোধীরা আজও তা নিয়ে কটাক্ষ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

দু’বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সরকারে নরেন্দ্র মোদীর সেনাপতি অরুণ জেটলি আজ পর্যন্ত প্রকাশ্যে বলতে পারেননি, দেশের অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর নোটবন্দির সিদ্ধান্তের কথা তিনি আগে জানতে পেরেছিলেন! কথায় কথায় বিরোধীরা আজও তা নিয়ে কটাক্ষ করেন।

Advertisement

রাহুল গাঁধী যেমন আজও বলেন, ফ্রান্সে অনিল অম্বানীকে সঙ্গে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী রাফাল চুক্তি করে এসেছেন। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত হ্যালের বদলে যে অম্বানী বরাত পাচ্ছেন, সেটি সেই সময়ের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকরও জানতেন না। এমনকি রাতারাতি গোটা চুক্তির স্বরূপ বদলে যাওয়ার কথাও জানা ছিল না বিদেশসচিব বা বিদেশমন্ত্রীর!

এ বারে পালা পাকিস্তানে বায়ুসেনার হামলা। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী আজ দাবি করলেন, তিনি জানতে পেরেছেন, পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি ঘাঁটিতে যে হামলা হয়েছে, সেই পরিকল্পনার শরিক ছিলেন সাত জন। কারা সেই সাত জন? সুব্রহ্মণ্যমের দাবি, তাঁরা হলেন— প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, আইবি এবং ’র প্রধান এবং তিন সেনার প্রধান।

Advertisement

স্বামীর এই ‘জানতে পারা’ থেকে যেটি বিরোধীদের কাছে ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল, এ বারেও এত বড় পরিকল্পনার কথা জানতেই পারলেন না সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী! মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটিও ছিল একই রকম অন্ধকারে!

সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত। তাই কংগ্রেস এখনও সংযত। কিন্তু দলের এক নেতা বলেন, ‘‘নিজেকে ছাড়া আর কারও কথা ভাবেনই না মোদী। স্বৈরতন্ত্র তাঁর ডিএনএ-তে! বিরোধীদের তো তিনি পরোয়াই করেন না। গত কয়েক দিন ধরে সরকারের থেকে যা খবর আসছে, তার সিংহ ভাগের উৎস একটিই— ‘সূত্র’! আর এটা তো দেখাই যাচ্ছে যে, নিজের সহকর্মীদেরও কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করেন না মোদী।’’

পাকিস্তানে হামলার পর নিরাপত্তা বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের ছবি দু’বার বেনজির ভাবে প্রকাশ্যে এনেছে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও এই কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আজ তামিলনাড়ুর জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নির্মলাকে দেশের ‘প্রথম মহিলা প্রতিরক্ষামন্ত্রী’ বলে উল্লেখ করেন। কংগ্রেস তা শুনে রে-রে করে উঠে বলেছে, ইন্দিরা গাঁধীও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন।

কংগ্রেসের প্রশ্ন, সরকারের নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী তথা মোদীর সহকর্মীরা যে জানতে পারেন না, তা স্পষ্ট। কিন্তু অমিত শাহ?

এ নিয়ে ধন্দে অনেকেই। কিন্তু তাতে কী? মোদী-শাহ জুটি তো সেনা নিয়ে পুরোদস্তুর রাজনীতি করতে প্রথম দিন থেকেই আসরে নেমে পড়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন