—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রায় পাঁচ দশকের পুরনো চিতা এবং চেতক হেলিকপ্টারের পরিবর্ত চেয়ে ভারতীয় স্থলসেনা এবং বায়ুসেনার তরফে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল বছর কয়েক আগে। শেষ পর্যন্ত সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে ২০০টি হালকা বহুমুখী ব্যববারযোগ্য হেলিকপ্টার (লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার বা এলইউএইচ) কেনার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। এর মধ্যে ১২০টি পাবে স্থলসেনার ‘আর্মি অ্যাভিয়েশন কোর’। ৮০টি যাবে ভারতীয় বায়ুসেনার জিম্মায়।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, দিন ও রাতের ঝটিকা অভিযান, নজরদারি, সেনা ও সমরাস্ত্র পরিবহণ, স্থল অভিযানে সহায়তা, সংঘর্ষে হতাহতদের দ্রুত সরিয়ে নেওয়া, অনুসন্ধান, উদ্ধারকার্য এবং অসামরিক সহায়তার মতো একাধিক ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হেলিকপ্টারের খোঁজে ইতিমধ্যেই একটি ‘রিকোয়েস্ট ফর ইনফরমেশন’ (আরএফআই) নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে রাশিয়ার থেকে ‘কমোভ-২২৭টি’ হেলিকপ্টার কেনার বিষয়টি ভাবা হয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড (হ্যাল)-এর কাছ থেকে ‘লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার’ কেনার বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে।
প্রসঙ্গত, ষাট ও সত্তরের দশকে ভারতীয় সেনা চেতক এবং চিতা ব্যবহার শুরু করেছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি এবং প্রযুক্তিও বদেলেছে। কিন্তু চেতক এবং চিতার সে ভাবে আধুনিকীকরণ হয়নি। লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে চিনের সঙ্গে যে ভাবে টানাপড়েন চলছে, তাতে এই দুই ‘ভিনটেজ’ কপ্টার সেই পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝে উঠতে পারবে না বলে মনে করছে সেনা। পাশাপাশি, অপারেশন সিঁদুরের পরে সিয়াচেনের মতো পৃথিবীর সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য দ্রুত চিতার পরিবর্ত খোঁজার প্রয়োজনীয়তাও অনুভূত হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগামী ২২ অগস্টের মধ্যে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহের পালা শেষ করে পর্যায়ক্রমে বাছাই নির্মাতা সংস্থাগুলির সঙ্গে দরপত্র নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।