ভারতের স্থলসেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। —ফাইল চিত্র।
২২ মিনিটে ‘অপারেশন সিঁদুর’ সম্পন্ন হয়েছে। ৮০ ঘণ্টায় পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ থামানো গিয়েছে। সংঘর্ষবিরতি নিয়ে সমঝোতা হয়েছে দুই দেশের। কী ভাবে তা সম্ভব হল? মে মাসের অভিযান নিয়ে ফের মুখ খুললেন ভারতের স্থলসেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী। সিঁদুর অভিযানকে তিনি ‘ট্রাস্টেড অর্কেস্ট্রা’ (বিশ্বাসযোগ্য বাদকদল) বলে মন্তব্য করেছেন। প্রত্যেকে সেখানে নিজ নিজ ভূমিকা সুচারু ভাবে পালন করেছেন। তাই এসেছে সাফল্য।
শনিবার দিল্লির একটি প্রতিষ্ঠানের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন জেনারেল দ্বিবেদী। সেখান থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের সশস্ত্র সেনা অভিযান সম্পর্কে কথা বলেন। তিনি বলেছেন, ‘‘অপারেশন সিঁদুর ছিল একটা ট্রাস্টেড অর্কেস্ট্রা, যেখানে প্রত্যেকে নিজ নিজ ভূমিকা পালন করেছেন। সেই কারণেই আমরা মাত্র ২২ মিনিটে পাকিস্তানের ন’টি সন্ত্রাসঘাঁটি ধ্বংস করতে পেরেছি। ৮০ ঘণ্টার মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিশ্চিত করতে পেরেছি। যেটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল, আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও সময়ই ছিল না। যদি সমগ্র দলের প্রতি আমাদের আস্থা না থাকত, যদি আগে থেকে পরিকল্পনা করে না রাখতাম, এ সব কিছু সম্ভব হত না।’’
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তার জবাবে ৬ মে মধ্যরাতে পাকিস্তানে হামলা চালায় ভারত। ধ্বংস করে দেওয়া হয় একাধিক জঙ্গিঘাঁটি। এর পরেই পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালায় এবং দুই দেশ সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। টানা চার দিন চলেছিল ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ। আপাতত সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত দুই দেশ। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও তলানিতেই।
গত ১৭ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠান থেকে সেনাপ্রধান দ্বিবেদী জানিয়েছিলেন, সিঁদুর অভিযান এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ কেবল ‘৮৮ ঘণ্টার ট্রেলার’ ছিল। সিনেমা এখনও শুরুই হয়নি। অর্থাৎ, আগামী দিনে পাকিস্তানকে আরও বড় কোনও জবাব দেওয়া হতে পারে, সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন তিনি।