সেনার উভচর বাহন ‘অ্যাটর এন ১২০০’। ফাইল চিত্র।
পঞ্জাবে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এক হাজারেরও বেশি গ্রাম জলের তলায়। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৬ হাজার বাসিন্দাকে জলমগ্ন এবং বিপজ্জনক এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃষ্টি এবং বন্যার জেরে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। তার মধ্যে পঠানকোটে আট জন, হোসিয়ারপুরে সাত, রূপনগর এবং বারনালায় তিন জন করে, গুরদাসপুরে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আটটি জেলা। সেগুলি হল— গুরদাসপুর, পঠানকোট, অমৃতসর, তরণ তারণ, কপুরথালা, ফিরোজ়পুর, হোসিয়ারপুর এবং ফাজ়িলকা। রাজ্য সরকার, সেনা, বিএসএফ, বায়ুসেনা এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী একযোগে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। জলমগ্ন গ্রামগুলিতে আটকে পড়া বাসিন্দাদের সেনার হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও উদ্ধারকাজ চলছে। তবে এই দুর্যোগে বড় ত্রাতার ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সেনার উভচর বাহন ‘অ্যাটর এন ১২০০’কে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, আপাতত দু’টি জেলায় চারটি এই উভচর বাহনকে উদ্ধারের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু উদ্ধারকাজই নয়, বন্যার জলে আটকে পড়া বাসিন্দাদের কাছে ত্রাণ পৌঁছোতেও এই বাহনকে ব্যবহার করা হচ্ছে। অমৃতসর এবং সুলতানপুর লোধীতে এই উভচর বাহন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে।
অ্যাটর এন ১২০০-এর বিশেষত্ব কী?
ভারতীয় সেনার ‘অ্যাডভান্সড অল টেরাইন অ্যাম্ফিবিয়ান’ বাহন এটি। এটি যেমন স্থলেও চলতে পারে, তেমনই জলেও চলতে পারে। শুধু তা-ই নয়, এবড়োখেবড়ো পথ, কর্দমাক্ত পথেও চলাচলে এই বাহন সমান ভাবে দক্ষ। ফলে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে এই বাহনকে কাজে লাগানো যায়। এটি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। শুধু সমতলেওই নয়, পাহাড়ি রাস্তা হোক, মরুভূমি কিংবা বরফে ঢাকা পথে যে কোনও আবহাওয়ায় এই বাহন চলতে পারে। এটি মূলত ইউক্রেনের শোর্প এন ১২০০-এর ভারতীয় সংস্করণ। ২০২৪ সালে ভারতীয় সেনায় এই বাহন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। মূলত সিকিম, লাদাখে এই বাহন মোতায়েন করা হয়েছে। তবে পঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতিতে এই বাহন ত্রাতার ভূমিকা নিয়েছে।