বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত ভারত-পাক কথোপকথন। তার মধ্যেই সোমবার প্রকাশ্যে এল ভারতীয় এক নয়া ফরমান। পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের সন্তানরা আর সে দেশের স্কুলগুলিতে পড়াশোনা করতে পারবে না। হয় তাদের ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দি়তে হবে অথবা অন্য কোনও দেশে। তবে, পাকিস্তান নৈব নৈব চ।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ জানিয়েছেন, এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ইসলামাবাদে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের সন্তানদের পাকিস্তানের বাইরে পড়াশোনার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস জারি না হওয়া পর্যন্ত এমনটাই মেনে চলতে হবে। এই ফরমানে যদিও অস্বাভাবিক কিছু দেখছে না ভারত। মন্ত্রকের দাবি, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া। সমস্ত দেশই সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটকে গুরুত্ব দিয়ে তার দূতাবাসগুলিতে কর্মীদের পাশাপাশি কূটনৈতিক নীতির মূল্যায়ন করে থাকে। এ ক্ষেত্রেও তেমনটা হয়েছে।
এমন ফরমানের কথা জানতে পেরে পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাফিস জাকারিয়া বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে আমাদের এ বিষয়ে তেমন কিছু জানানো হয়নি। মাস দুয়েক আগে অভ্যন্তরীন এবং প্রশাসনিক পর্যায়ে আমরা কিছুটা জানতে পেরেছি। আমাদের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনাও করা হয়নি।’’
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত গত বছরের জুন মাসে নেওয়া হয়েছিল। এত দিন পরে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হল। এর ফলে পাকিস্তানে কর্মরত ভারতীয় দূতাবাসের কোনও কর্মীর সন্তান আর সে দেশের কোনও স্কুলে পড়তে পারবে না। ফলে পরিবার বা সুস্পষ্ট ভাবে বলা ভাল নিজের সন্তানদের নিয়ে সে দেশে থাকতে পারবেন না কোনও দূতাবাস কর্মী। সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে ভারতীয় দূতাবাস কর্মীদের প্রায় ৫০ জন সন্তান ইসলামাবাদের বিভিন্ন মার্কিনি স্কুলে পড়াশোনা করে।
তবে, ভারতের এই ফরমান জেনে এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান পাল্টা কোনও নির্দেশ কার্যকর করেনি।
আরও খবর
তিন সাংবাদিককে দেশে ফেরত পাঠানোর পরিণতি মারাত্মক, হুমকি চিনের