আবার জয়জয়কার ভারতীয় সেনাবাহিনীর।
না, আর কোনও ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ নয়। এ বার সরাসরি পদক। সব-সেরার। কঠিনতম সেনা মহড়ায় সোনার পদক জিতে নিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। আর ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ওই পদক জেতাতে অগ্রণী ভূমিকা নিল সেই গোর্খা রাইফেলস। কোন দেশের সেনাবাহিনী কতটা অনুশীলনের মধ্যে থাকে, কতটা কঠোর অনুশীলনের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে, তারই পরীক্ষা হয় ফি-বছর, ওয়েলসে। সেই পরীক্ষাতেই সবচেয়ে বেশি ‘নম্বর’ পেয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ওয়েলসে প্রতি বছরই আন্তর্জাতিক সেনা মহড়া ‘ক্যামব্রিয়ান পেট্রোল’-এর আয়োজন করে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী। তাতে বিশ্বের সবক’টি দেশের সেনাবাহিনী অংশ নেয়। আধুনিক বিশ্বে এটাই কঠিনতম সেনা মহড়া। ওয়েলসে ক্যামব্রিয়ান পর্বতমালায় সাপের মতো পেঁচানো ৫৫ কিলোমিটার দূরত্বের পথে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীকে ওই কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়। চলে পেট্রোলিং। ওই পরীক্ষায় বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনীকে কিছু কঠিনতম টাস্ক দেওয়া হয় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে করে ফেলার জন্য। সেই কঠিনতম কাজগুলি কত কম সময়ে কতটা দক্ষতার সঙ্গে কোন দেশের সেনাবাহিনী করতে পারছে, তার ওপরেই সেই দেশের সেনাবাহিনীকে ‘নম্বর’ দেওয়া হয়। আর সেই ‘নম্বরে’র ভিত্তিতেই কে কোন পদক পাবে আর কে কোনও পদক পাওয়ারই যোগ্য নয়, তা নির্ধারিত হয়।
সেই কঠিনতম টাস্কগুলি কী কী?
অনেক কিছুই রয়েছে। যেমন, অস্ত্রচালনা, রেডিও কমিউনিকেশন্স, মিডিয়া হ্যান্ডলিং ও হেলিকপ্টার ড্রিল।
এই পরীক্ষায় ৭৫ শতাংশ ‘নম্বর’ পেলে সোনার পদক দেওয়া হয়। যেটা এ বার ভারতীয় সেনাবাহিনী পেয়েছে গোর্খা রাইফেলসের সেকেন্ড ব্যাটালিয়নের জওয়ানদের সৌজন্যে। ৬৫ থেকে ৭৪ শতাংশ ‘নম্বর’ পেলে দেওয়া হয় রূপোর পদক। আর ৫৫ থেকে ৬৪ শতাংশ ‘নম্বর’ পাওয়া কোনও দেশের সেনাবাহিনী পায় ব্রোঞ্জ পদক। আর ওই পরীক্ষায় যে দেশের সেনাবাহিনী ৫৫ শতাংশের চেয়ে কম ‘নম্বর’ পায়, তাদের কোনও পদকই দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় শুধুই সার্টিফিকেট।
এই পরীক্ষায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর সোনার পদক জয়ের খবর টুইট করে জানিয়েছে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী।
আরও পড়ুন- জম্মু-কাশ্মীরের পাক গুপ্তচর ধৃত, মিলল পাকিস্তানি সিম ও মানচিত্র