রেললাইনে সোলার প্যানেল। ছবি: সংগৃহীত।
রেললাইনে বসল সৌরবিদ্যুতের প্যানেল। বারাণসীর ‘বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কস’ (বিএলডব্লিউ)-এর রেললাইনে এই সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসানো হয়েছে, যা এ দেশে প্রথম।
বিএলডব্লিউ-এর জনসংযোগ আধিকারিক ব্রজেশ কুমার জানান, এই উদ্যোগ সফল হলে তা গোটা দেশে চালু করা হতে পারে। তাতে মিটবে বিদ্যুতের চাহিদা।
আপাতত বিএলডব্লিউ চত্বরের রেললাইনে মাত্র ৭০ মিটারে ২৮টি প্যানেল বসানো হয়েছে। এতে দিনে ১৫ কিলোওয়াট পিক বা ৬৭ ইউনিট বিদ্যুৎ তৈরি হচ্ছে, যা বিএলডব্লিউ-র বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সক্ষম বলে জানিয়েছেন ব্রজেশ।
সোলার প্যানেলগুলি রেললাইনের স্লিপারের উপর বসানো হয়েছে। সেগুলি রাবার প্যাড দিয়ে আটকানো, যাতে ট্রেন যাওয়ার সময় তীব্র কাঁপুনিতে নষ্ট না হয়ে যায়। রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজনে সোলার প্যানেলগুলিকে সহজে খোলাও যাবে। এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য— ২০৩০ সালের মধ্যে ট্রেন চলাচলে কার্বণ নিঃসরণ অনেকটা পরিমাণে কমিয়ে আনা।
রেল সূত্রে খবর, এই প্রকল্প যদি গোটা দেশে চালু হয়, তা হলে প্রতি কিলোমিটার থেকে অন্তত ৩ লক্ষ ২১ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব প্রতি বছর। প্রসঙ্গত, দেশ জুড়ে অন্তত ১ লক্ষ ১৫ হাজার এলাকা জুড়ে রেললাইন বিস্তৃত। রেল সূত্রের মত, দেশে প্রতিটি গৃহস্থের বছরে বিদ্যুতের চাহিদা যদি গড়ে ১০০০-১২০০ কিলোওয়াট হয়, তা হলে ওই এক কিলোমিটার রেললাইন থেকে ২৫০-২৭০টি গৃহস্থের চাহিদা মিটতে পারে।
সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে বিদ্যুতের চাহিদা মেটানোর উদ্যোগ ভারতীয় রেলে অনেক আগেই শুরু হয়েছে। ২০১৮ সালে প্রথম বার সৌরবিদ্যুতের প্যানেল বসানো হয়েছিল হাওড়া স্টেশনের চাদে। সেই সময় রেল জানিয়েছিল, হাওড়া স্টেশনে মাসে গড়ে বিদ্যুতের খরচ যদি ৭০ লাখ টাকা হয়, সোলার প্যানেল বসালে সেই খরচ এক ধাক্কায় ১০ লাখ টাকায় নেমে আসবে।