Hyperloop Train

মাত্র ৩০ মিনিটেই পৌঁছোনো যাবে দিল্লি থেকে জয়পুর! দেশের প্রথম ‘হাইপারলুপ’ ট্রেনের লাইন প্রস্তুত

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ‘হাইপারলুপ’ লাইনের ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। রেলমন্ত্রী জানান, পরিবহণ এবং গতির দুনিয়ায় এই ট্রেন এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৯
Share:

‘হাইপারলুপ’ ট্রেন। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

মাত্র ৩০ মিনিটেই দিল্লি থেকে রাজস্থানের জয়পুরে পৌঁছোনো যাবে? দেশের প্রথম ‘হাইপারলুপ’ লাইনের পরীক্ষা হয়ে গেল। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। রেল মন্ত্রকের সহযোগিতায় ৪২২ মিটার দীর্ঘ ‘হাইপারলুপ’ লাইন তৈরি করেছে আইআইটি মাদ্রাজ। দাবি করা হচ্ছে, মাত্র ৩০ মিনিটেই ৩৫০ কিলোমিটার অতিক্রম করা যাবে ‘হাইপারলুপ’ চালু হলে। ঘণ্টায় ১১০০ কিমি বেগে ছুটবে এই ট্রেন।

Advertisement

রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ‘হাইপারলুপ’ লাইনের ছবি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। রেলমন্ত্রী জানান, পরিবহণ এবং গতির দুনিয়ায় এই ট্রেন এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। আইআইটি মাদ্রাজের সঙ্গে যৌথ ভাবে এই প্রকল্পটির কাজ চলছে। দাবি করা হচ্ছে, এই ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ১১০০ কিলোমিটার, যা বুলেট ট্রেনের থেকেও গতি বেশি। একটি বুলেট ট্রেনের সর্বাধিক গতি ঘণ্টায় ৪৫০ কিলোমিটার।

মনে করা হচ্ছে, ‘হাইপারলুপ’ ব্যবস্থা যদি দেশে চালু হয়ে যায়, তা হলে পরিবহণ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। কিন্তু হাইপারলুপ ট্রেন কী? একটি লো-প্রেশার টিউবের মধ্যে দিয়ে চলে এই সুপারফাস্ট ট্রেন। সাধারণ ট্রেনের মতো একাধিক কামরা নয়, বরং একটিমাত্র কামরা থাকে এতে। মূলত ইলেকট্রিকেই চলে। চৌম্বক শক্তির প্রভাবে কামরাটি লাইন থেকে খানিকটা উপরে উঠে যায়। এর পর ধীরে ধীরে গতি তা বাড়ায়।

Advertisement

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওই ট্রেনটি চালানো হবে এমন একটি টিউবের মধ্যে দিয়ে, যাতে কোনও বাতাস থাকবে না। বাতাস বা ‘এয়ার’ না থাকায় সামনের দিকে এগোতে গেলে বায়ুমণ্ডলের কোনও বাধা থাকে না বলে ওই ট্রেন অত দ্রুত গতিতে ছুটতে পারে। তাই এটাকে বলা হয় হাইপারলুপ ট্রেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement