IndiGo Crisis

বুধেও ভোগান্তি অব্যাহত, বেলা পর্যন্ত ইন্ডিগোর ১০০-র বেশি উড়ান বাতিল! বিপর্যয় হাজার কোটির ধাক্কা দিল শুধু দিল্লিকেই

দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বহু উড়ান বাতিল হতে শুরু করে। শুধু ঘরোয়া নয়, আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিলের সংখ্যাও কম নয়। টানা উড়ান বিপর্যয়ের রেশ গিয়ে পড়েছে রাজধানীর অর্থনীতিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৬
Share:

ইন্ডিগো বিপর্যয়ের ফলে যাত্রীদুর্ভোগ অব্যাহত। — ফাইল চিত্র।

বুধবারও ইন্ডিগোর একের পর এক উড়ান বাতিল হচ্ছে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে। অব্যাহত যাত্রীভোগান্তি। জানা গিয়েছে, বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১০০-র বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে। বিপর্যয় শুরু হওয়ার পর কেটে গিয়েছে আট দিন। তবে এখনও পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক করতে পারেননি ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ। অন্য দিকে, ইন্ডিগো বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে বাণিজ্যেও! শুধু বিমানক্ষেত্রে নয়, অন্য অনেক ব্যবসা ধাক্কা খেয়েছে এই বিপর্যয়ে। বেশি ক্ষতি হয়েছে দিল্লিতে।

Advertisement

গত সপ্তাহে মঙ্গলবার থেকে ইন্ডিগোর বিমান বিপর্যয় শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে বহু উড়ান বাতিল হতে শুরু করে। শুধু ঘরোয়া নয়, আন্তর্জাতিক উড়ান বাতিলের সংখ্যাও কম নয়। সাড়ে চার হাজারের বেশি ইন্ডিগো উড়ান বাতিল হয়েছে এই ন’দিনে। বুধবার অহমদাবাদ, দিল্লি, কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অনেকগুলি উড়ান বাতিল করতে হয়েছে ইন্ডিগোকে।

টানা উড়ান বিপর্যয়ের রেশ গিয়ে পড়েছে রাজধানীর ব্যবসামহলে। বিমানবন্দর ছাড়িয়ে সঙ্কট ছড়িয়েছে দিল্লির অর্থনীতিতে। চেম্বার অফ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিটিআই) অনুমান, হাজার হাজার উড়ান বাতিলের ফলে রাজধানীর বাণিজ্য, শিল্প, পর্যটনশিল্পে গত কয়েক দিনে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে!

Advertisement

সিটিআইয়ের চেয়ারম্যান ব্রিজেশ গয়াল জানান, প্রতি দিন বিমান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্প। রাজধানীর বাজারেও প্রভাব পড়েছে। তাঁর মতে, গত ১০ দিনে দিল্লির বাজারে মানুষের আনাগোনা প্রায় ২৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। কারণ, দিল্লিতে বহু দেশি-বিদেশি পর্যটক আসেন। বিভিন্ন জিনিস কেনেন। বিমান বিপর্যয়ের কারণে অনেক পর্যটকই আসতে পারেননি। উল্লেখ্য, দিল্লি বিমানবন্দর থেকেই সবচেয়ে বেশি উড়ান বাতিল হয়েছে এই কয়েক দিনে। ফলে রাজধানীতে বেশি প্রভাব পড়েছে।

ব্রিজেশের কথায়, ‘‘দিল্লি বিমানবন্দর থেকে প্রতি দিন দেড় লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার ব্যবসায়ী থাকেন। ব্যবসায়িক পর্যটকদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। তবে বিপর্যয়ে দিল্লি বিমানবন্দের যাত্রী সংখ্যা মারাত্মক ভাবে হ্রাস পেয়েছে, যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে দিল্লির পাইকারি এবং খুচরো বাজারে। পাশাপাশি, দিল্লির হোটেল, রেস্তরাঁ ব্যবসাতেও ইন্ডিগো বিপর্যয়ের প্রভাব পড়েছে। অনেকেই বুকিং বাতিল করছেন। এ ছাড়াও, দিল্লির প্রগতি ময়দান এবং আনন্দমণ্ডপে অটোমোবাইল, তাঁত, টেক্সটাইল, গৃহসজ্জার মতো নানা বিষয়ের প্রদর্শনী হয়। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকে এই সব প্রদর্শনীতে আসেন। কিন্তু বিপর্যয়ের কারণে তাঁদের অনেকেই আসতে পারছেন না। বিপর্যয়ের ফলে বড়দিন এবং নববর্ষের বুকিংয়েও প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।

গত ১ ডিসেম্বর থেকে বিপর্যস্ত ইন্ডিগোর উড়ান পরিষেবা। একের পর এক উড়ান বাতিলে সমস্যায় পড়েছেন যাত্রীরা। ইন্ডিগো বিপর্যয়ে হস্তক্ষেপ করে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী কে রামমোহন নায়ডু চার সদস্যের কমিটি তদন্ত করছেন। ইন্ডিগোকে শো কজ় নোটিস পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেছে ডিজিসিএ। ইন্ডিগোর ১০ শতাংশ পরিষেবা কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement