মাটিতে ফেলে ইন্ডিগোর কর্মীরা মারধর করছেন যাত্রীকে। ছবি: ভিডিও থেকে।
চেন্নাই থেকে ইন্ডিগোর বিমানে দিল্লিতে নেমেছিলেন রাজীব কাটিয়াল। দিল্লি বিমানবন্দরে নেমে ইন্ডিগোর কর্মীদের হাতে এ ভাবে হেনস্থা হতে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি তিনি। কী ভাবে তাঁকে হেনস্থা করা হয়েছিল তার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে ইতিমধ্যেই। সেই ভিডিও নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে।
যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার বা হেনস্থার অভিযোগ ইন্ডিগোর বিরুদ্ধে নতুন কোনও ঘটনা হয়। কিন্তু রাজীব কাটিয়ালের সঙ্গে যা হয়েছে, তা সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। টাইমস নাও-কে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে কাটিয়াল সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শুধু নোটবন্দিতেই কালো টাকা সাফ হয় না, এ বার সাফাই জেটলির
১৫ অক্টোবরের ঘটনা। দিল্লি বিমানবন্দরে নামার পরই একটি বিষয় নিয়ে ইন্ডিগোর দুই কর্মীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কাটিয়ালের। তিনি যখন টার্মিনালে যাওয়ার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন, সেই সময় ওই কর্মীরা তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দেন। প্রতিবাদ করলে কাটিয়ালকে মাটিতে ফেলে তাঁর উপর চড়াও হন ওই দুই কর্মী। এখানেই শেষ নয়, পরে পুলিশের কাছে নিয়ে গিয়ে উল্টে তাঁকেই হুমকি দেওয়া হয় বলে কাটিয়ালের অভিযোগ।
টাইমস নাও-এ প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঘটনাটি যখন ঘটছে তখন সেখানে উপস্থিত ইন্ডিগোরই এক কর্মী সেটা ক্যামেরাবন্দি করেন। বিষয়টি জানিয়ে তিনি কর্তৃপক্ষকে ভিডিওটি দেখান। অভিযুক্ত দুই কর্মীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরে থাক, উল্টে যে কর্মী ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেছিলেন তাঁকেই কাজ থেকে বরখাস্ত করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কর্তৃপক্ষ অবশ্য এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ভিডিও ঘিরে যখন দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে, ইন্ডিগো কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেন। কর্মীদের দুর্ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেয় ইন্ডিগো। সংস্থার শীর্ষকর্তা আদিত্য ঘোষ বলেন, ‘‘এই ঘটনা জানার পরই ওই যাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়েছে। বিভাগীয় তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে অভিযুক্ত কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্তও করা হতে পারে।’’ আর ভবিষ্যতে যাতে এরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সাক্ষী না হতে হয় যাত্রীদের সেই আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
ইন্ডিগোর কর্মীরা যে যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, এই ঘটনা নতুন নয়। সাধারণ ব্যক্তি থেকে সেলিব্রিটি, অনেকেই এর আগেও ইন্ডিগোর কর্মীদের প্রতি দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন। দেশের ব্যাটমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু চলতি মাসেই টুইট করে নিজের এমনই একটা অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন। এবং সে ক্ষেত্রেও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে কর্তৃপক্ষ নিজের কর্মীর হয়েই ব্যাট ধরেছিলেন।