National

পিটারকে ডিভোর্স দিতে চাইলেন ইন্দ্রাণী, শিনা হত্যা মামলায় চার্জ গঠন

কন্যা শিনা বোরা খুনের মামলায় পিটার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্নার বিরুদ্ধেও। ও দিকে, মঙ্গলবার মুম্বইয়ের আদালতে ইন্দ্রাণী জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দিতে চান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ১৬:৫৮
Share:

ইন্দ্রাণী ও পিটার মুখোপাধ্যায়।

কন্যা শিনা বোরা খুনের মামলায় পিটার মুখোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। একই অভিযোগে চার্জ গঠন করা হয়েছে ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্নার বিরুদ্ধেও। তিন জনের বিরুদ্ধেই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০ (বি), ৩০২, ৩৬৪, ২০৩, ২০১ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ও দিকে, মঙ্গলবার মুম্বইয়ের আদালতে ইন্দ্রাণী জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়কে ডিভোর্স দিতে চান।

Advertisement

তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে, তা মঙ্গলবার আদালতে পিটার, ইন্দ্রাণী ও সঞ্জীবকে শোনানো হয়েছে। পয়লা ফেব্রুয়ারি ওই মামলার শুনানি শুরু হবে বিচারপতি এইচ এস মহাজনের আদালতে। পুত্র মিখাইল বোরাকে খুনের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ইন্দ্রীণী ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ নম্বর ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে। মিখাইল অভিযোগ করেছিলেন, যে দিন শিনাকে খুন করা হয়েছিল, সেই দিনই তাঁর পানীয়তেও বিষ মিশিয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তাঁর মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। এ ছাড়াও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের দায়ে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৭১ নম্বর ধারাতেও মামলা রুজু করা হয়েছে ইন্দ্রাণীর বিরুদ্ধে।

আরও পড়ুন- স্কুলে কিশোরীকে গণধর্ষণ, প্রিন্সিপাল-সহ চার অভিযুক্ত শিক্ষক ফেরার​

Advertisement

২০১২ সালের ২৪ এপ্রিল খুন হন শিনা বোরা। তাঁর দেহটি পুড়িয়ে রায়গড়ের ঘন জঙ্গলে মাটির তলায় পুঁতে রাখা হয়। কন্যা শিনাকে খুনের অভিযোগে ইন্দ্রাণীকে গ্রেফতার করা হয় ২০১৫-র অগস্টে। তার পর একে একে গ্রেফতার করা হয় তাঁর স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খন্না ও ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যামবীর রাইকে। পরে শ্যামবীর ওই মামলায় রাজসাক্ষী হয়ে গিয়ে জেরায় সিবিআইকে জানিয়ে দেন কী ভাবে ওই খুনের ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল আর কী ভাবেই-বা খুন করা হয়েছিল শিনা বোরাকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement