Infosys

সপ্তাহে ৪৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বেশি অফিস নয়! ইনফোসিসের নির্দেশে ফের আলোচনায় নারায়ণমূর্তির সেই ‘৭০ ঘণ্টা’

প্রতি দিন সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট কাজ করবেন কর্মীরা। বাড়িতে থেকে কিংবা অফিসে এসে— নির্ধারিত এই সময়ের বাইরে অফিস করলেই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে বার্তা পাঠিয়ে দেবে ইনফোসিস।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ১৬:৪৪
Share:

ইনফোসিসের কর্ণধার নারায়ণমূর্তি। —ফাইল চিত্র।

স্বাস্থ্যের যত্ন নিন!

Advertisement

কর্মীদের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিল তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ‘ইনফোসিস’। ‘ইকনমিক টাইমস’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, যে সমস্ত কর্মী নির্ধারিত সময়ের পরেও অফিসের কাজ করছেন, সংস্থাটির তরফে তাঁদের কাছে মেল পাঠানো হচ্ছে। সেই মেলে শরীরের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইনফোসিস-এর এই বার্তা ফের আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে সংস্থার কর্ণধার নারায়ণমূর্তির সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা করে কাজ করার পরামর্শ।

ইনফোসিস কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সপ্তাহে ৫ দিন কাজ করবেন কর্মীরা। প্রতি দিন সর্বাধিক ৯ ঘণ্টা ১৫ মিনিট কাজ করবেন তাঁরা। বাড়িতে থেকে কিংবা অফিসে এসে— নির্ধারিত এই সময়ের বাইরে অফিস করলেই সংশ্লিষ্ট কর্মীকে স্বাস্থ্যবার্তা পাঠিয়ে দেবে সংস্থাটি। বাড়িতে থেকে যাঁরা কাজ করবেন, বিশেষ ভাবে নজর রাখা হবে তাঁদের উপর। তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির নির্দেশ মোতাবেক, সপ্তাহে ৪৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের বেশি কাজ করবেন না কর্মীরা। ২০২৩ সালে ইনফোসিস কর্তা নারায়ণমূর্তি অবশ্য সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পক্ষে সওয়াল করে বলেছিলেন, “দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি এবং জাপানের মানুষেরা দেশের উন্নতি করতে অতিরিক্ত সময় কাজ করেছিলেন। ভারতের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য তরুণ প্রজন্মের আরও কঠিন পরিশ্রম করা উচিত।” ইনফোসিস স্বয়ং কর্ণধারের সেই প্রস্তাবের উল্টো পথে হাঁটছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

সংস্থাটির একটি সূত্রে খবর, অতিরিক্ত সময় ধরে কাজের জন্য অনেক কর্মী অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। অনেকে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না। এর প্রভাব পড়ছে কাজে। ফলে কর্মীদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নবান হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় ৩ লক্ষ ২৩ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৬ সালে ভারত যখন একাধিক ক্ষেত্রে সপ্তাহে পাঁচ দিন কাজের পথে হাঁটল, তখন তাঁর বিরোধিতা করেছিলেন নারায়ণমূর্তি। গত নভেম্বরে একটি ইংরেজি সংবাজমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রবীণ শিল্পপতি বলেন, “এই যে কাজ এবং জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কথা বলা হয়, আমি তাতে বিশ্বাস করি না। প্রকৃত ত্যাগ এবং ধারাবাহিক প্রচেষ্টা ছাড়া প্রকৃত উন্নতি হতে পারে না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement