নিতিন সন্দেসরাকে নিয়েই গৃহযুদ্ধ সিবিআইয়ের শীর্ষে

আক্ষরিক অর্থেই গৃহযুদ্ধ! পাঁচ হাজার সাতশো কোটি টাকার বেশি প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত নিতিন সন্দেসরা আরব আমিরশাহি থেকে নাইজেরিয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের সূত্রেই সিবিআইয়ের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে বিবাদ ফের প্রকাশ্যে চলে এল!

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৩৬
Share:

ফাইল চিত্র।

আক্ষরিক অর্থেই গৃহযুদ্ধ! পাঁচ হাজার সাতশো কোটি টাকার বেশি প্রতারণার মামলায় অভিযুক্ত নিতিন সন্দেসরা আরব আমিরশাহি থেকে নাইজেরিয়া পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের সূত্রেই সিবিআইয়ের শীর্ষকর্তাদের মধ্যে বিবাদ ফের প্রকাশ্যে চলে এল!

Advertisement

সিবিআই কর্তারাই মানছেন, সংস্থার ডিরেক্টর অলোক বর্মার প্রতি স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার সন্দেহ ও অবিশ্বাসই এই বিবাদের প্রধান কারণ। গুজরাতের সন্দেসরা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে নাম জড়িয়েছিল আস্থানার। কিন্তু পরে সিবিআই তদন্তেই দেখা যায়, আস্থানা কোনও অবৈধ লেনদেনে জড়িত নন। তা সত্ত্বেও ডিরেক্টর বর্মা কেন তদন্ত থেকে তাঁর নাম সারাচ্ছেন না— এটাই আস্থানার ক্ষোভের বিষয়। শুধু তাঁর ‘বস’ ডিরেক্টর বর্মা নন, তাঁর অধস্তন অফিসার, জয়েন্ট ডিরেক্টর অরুণ কুমার শর্মাকেও বিশ্বাস করছেন না আস্থানা। কারণ শর্মাই এই তদন্তের দায়িত্বে। প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন বলে পরিচিত আস্থানা ও শর্মা, দু’জনেই গুজরাত ক্যাডারের অফিসার।

সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর হিসেবে আস্থানার নিয়োগের সময়েই ডিরেক্টর বর্মা আপত্তি তুলেছিলেন। কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, আস্থানার নাম তো সিবিআই তদন্তেই উঠে এসেছে। কী সেই তদন্ত? সন্দেসরা গোষ্ঠীর অফিস থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। তাতে নাম ছিল আস্থানার। দেখা যায়, বর্তমানে পলাতক নিতিন সন্দেসরার ওই সংস্থা প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকা করে আস্থানাকে পাঠাত।

Advertisement

সিবিআইয়ের তদন্তে জানা গিয়েছে যে, তিনি গাঁধীনগরে নিজের বাড়ি ওই সংস্থাকে ভাড়া দিয়েছিলেন। বাড়ি ভাড়া বাবদ তিনি ওই টাকা পেতেন। আয়কর রিটার্নেও সে তথ্য মিলেছে। ওই ডায়েরিতে ‘আর এ’-র অ্যাকাউন্টেও কয়েক কোটি টাকা জমার তথ্য ছিল। এখন স্পষ্ট হয়েছে, আর এ-র অর্থ রাকেশ আস্থানা নয়, রানিং অ্যাকাউন্ট। সূত্রের খবর তা সত্ত্বেও ওই তদন্ত থেকে তাঁর নাম সরানো হচ্ছে না বলেই বর্মা ও শর্মার উপরে ক্ষুব্ধ আস্থানা ।

আস্থানা দু’জনের বিরুদ্ধেই সরকারি ভাবে অভিযোগ করেছেন, তাঁর কাজে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ এখন কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে। এই সূত্রে কিছু নথি চেয়েছিল কমিশন। সিবিআইয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্তা আজ এক বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনার ভি চৌধুরিকে বেশ কিছু নথি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

তিন দিন আগে আস্থানার ওই অভিযোগকে ‘অসাড় ও অসৎ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে বিবৃতি দিয়েছিল সিবিআই মুখপাত্রের দফতর। আস্থানা শিবিরের প্রশ্ন, সিবিআই ডিরেক্টর কি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করাতে গোটা সংস্থার মুখপাত্রের দফতরকে কাজে লাগাতে পারেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন