বিএসএফ-এর বিমানবাহিনীর প্রথম মহিলা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হলেন ভাবনা চৌধুরী। ছবি: এক্স।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-র বিমানবাহিনীর প্রথম মহিলা ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার নিযুক্ত হলেন ইন্সপেক্টর ভাবনা চৌধুরি। বিএসএফ-এর ৬০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বার কোনও মহিলা এই পদে নিযুক্ত হলেন। প্রশিক্ষণ শেষে রবিবার ভাবনা-সহ পাঁচ ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের হাতে শংসাপত্র এবং ফ্লাইং ব্যাজ তুলে দিয়েছেন বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিংহ চৌধুরি।
সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, গত দু’মাস ধরে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ভাবনা-সহ পাঁচ সাবঅর্ডিনেট অফিসার (এসও)। বিএসএফ-এর কর্তারা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, ওই পাঁচ আধিকারিক বিএসএফ-এর বিমান শাখার প্রশিক্ষকদের কাছেই প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। আগস্ট মাসে প্রশিক্ষণ শুরু হয়। এই দু’মাসে তাঁরা ১৩০ ঘণ্টা অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, পঞ্জাব এবং অন্যান্য রাজ্যে সাম্প্রতিক বন্যার সময় বিএসএফ-এর বিমানবাহিনীর বিভিন্ন জিনিসপত্র উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতাও হাতেকলমে অর্জন করেছেন তাঁরা। প্রশিক্ষণ শেষে রবিবার তাঁদের হাতে ফ্লাইং ব্যাজ তুলে দেওয়া হয়েছে।
১৯৬৯ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিমান পরিবহণ শাখা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সীমান্ত বাহিনীকে। সেই থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি সমস্ত আধাসামরিক বাহিনী, এনএসজি এবং এনডিআরএফ-এর মতো বিশেষ বাহিনীর নানা প্রয়োজনেও সাহায্য করে বিএসএফ। তবে বিএসএফ সূত্রে খবর, তাদের বিমানবাহিনীর এমআই-১৭ হেলিকপ্টার ফ্লিটে ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারদের সংখ্যা বেশ কম থাকায় গত কয়েক বছর ধরেই কাজে বেশ অসুবিধা হচ্ছিল। এর আগে প্রথম ব্যাচের তিন জন এসও-কে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু নানা কারণে দ্বিতীয় ব্যাচের পাঁচ জনকে সেখানে প্রশিক্ষণের সুযোগ দেওয়া যায়নি। ওই দ্বিতীয় ব্যাচেই ছিলেন ভাবনা। এর পর বিএসএফ-এর তরফে অভ্যন্তরীণ প্রশিক্ষণের অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়। সবুজ সঙ্কেত মেলার পর শুরু হয় প্রশিক্ষণ।
তবে ভাবনার আগে কোনও মহিলা বিএসএফ-এর বিমান শাখার ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার হননি। বিএসএফ-এর বিমানবাহিনী তৈরি হওয়ার পর থেকে গত ৫৬ বছরে এই প্রথম কোনও মহিলা এই পদ পেলেন। ভাবনাদের শাখাটি এমআই-১৭ ১ভি, এমআই ১৭ ভি৫, চিতা এবং এএলএইচ ধ্রুব-এর মতো হেলিকপ্টার ছাড়াও ভিআইপি-দের জন্য বিশেষ জেটগুলিও পরিচালনা করবে। শুধু তা-ই নয়, প্রয়োজনে সীমান্তে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নানা দায়িত্বও পালন করবেন তাঁরা।