সমবায় ভোট ঘিরে চাঞ্চল্য

করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের নির্বাচন ঘিরে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়ক। জেলাশাসক পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৩:৩৩
Share:

করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের নির্বাচন ঘিরে জেলাশাসকের সঙ্গে দেখা করলেন কংগ্রেস ও বিজেপি বিধায়ক। জেলাশাসক পক্ষপাতমূলক আচরণ করলে তাঁকে সুপ্রিম কোর্টে নিয়ে যাওয়ার কথা বললেন কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ।

Advertisement

শেষে কংগ্রেসের চালে ধরাশায়ী হল বিজেপি। নির্বাচনের জন্য কংগ্রেস ও বিজেপি সদস্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তেজনার আঁচ পৌঁছয় জেলাশাসকের কার্যালয়েও। করিমগঞ্জ হোলসেল কো-অপারেটিভের চেয়ারম্যান পদে জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দেবকে ফের মনোনয়ন দেওয়া নিয়ে আপত্তি ছিল বিজেপি বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের। কংগ্রেসের অভিযোগ, কো-অপারেটিভের সাধারণ সভার অনুমতি না দেওয়ার জন্য সমবায়মন্ত্রীকে তিনি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। আজ ভোটপর্ব বন্ধ করতে গত কাল জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের সঙ্গে পাথারকান্দির বিধায়ক বৈঠক করেন বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে উত্তর করিমগঞ্জের কংগ্রেস বিধায়ক জেলাশাসক প্রশান্ত কুমার মহন্তের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি জানিয়ে দেন, সমবায় সমিতির ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চালু হওয়ার পর তা কোনও ভাবেই বন্ধ করা যায় না। তিনি জানিয়ে দেন— কো-অপারেটিভ নির্বাচনে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করলে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন। একই কথা তিনি জানান পুলিশ সুপারকেও। সুপ্রিম কোর্টের কাগজ জেলাশাসকের হাতে তুলে দেওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাথারকান্দির বিধায়ক ও করিমগঞ্জ জেলা বিজেপির সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য।

বিজেপির তরফে ওই নির্বাচন বন্ধ রাখতে গৌহাটি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সে সংক্রান্ত নথি জেলাশাসককে দিয়ে কমলাক্ষবাবু দাবি করেন, আদালতে ৪টি মামলা খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই জেলাশাসকের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। তিনি সতর্ক করে জানান, সমবায় সমিতির নির্বাচন স্থগিত করা হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

Advertisement

আজ কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে করিমগঞ্জের জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সর্বসম্মত ভাবে ১৪ জনকে মনোনীত করা হয়। কো-অপারেটিভের সভাপতি পদ কংগ্রেসের দখলে থাকলেও, এ দিন ১৪ জনের তালিকায় জেলা বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি রথীন্দ্র ভট্টাচার্য, বিজেপির প্রাক্তন সম্পাদক অজয় ভট্টাচার্য, বিজেপির প্রাক্তন পুরসদস্য আল্পনা দাসকে সামিল করা হয়েছে।

পাথারকান্দির বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল অবশ্য বলেন, ‘‘জেলাশাসকের কার্যালয়ে বিশ্বকর্মা পুজো ছিল। আমন্ত্রণ পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। ভোট প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ একেবারেই সত্যি নয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন