Pahalgam Terror Attack

পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল স্থানীয় দুই জঙ্গি, তারাই নিয়ে গিয়েছিল খাবারের স্টলে: গোয়েন্দা সূত্র

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নাকি আগে থেকেই কাশ্মীরে সম্ভাব্য হামলার খবর ছিল। এপ্রিল মাসে সেই হামলা হতে পারে, তা-ও জানতেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২৫ ১৭:০৩
Share:

বৈসরনের সেই এলাকা, যেখানে জঙ্গিদের গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল ২৬ জনের। — ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে গত ২২ এপ্রিল জঙ্গিহানায় প্রাণ গিয়েছে ২৬ জন পর্যটকের। বৈসরন উপত্যকায় ভ্রমণের সময় তাঁদের কাছে এসে ঠান্ডা মাথায় বেছে বেছে গুলি চালায় এক দল জঙ্গি। কিন্তু সেই পর্যটকদের ভিড়ে নাকি মিশে ছিল দু’জন স্থানীয় জঙ্গিও। তারাই নাকি পর্যটকদের নিয়ে গিয়েছিল খাবারের স্টলে। এ বার এমনটাই জানাল গোয়েন্দা সূত্র।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার কাছে নাকি আগে থেকেই কাশ্মীরে সম্ভাব্য হামলার খবর ছিল। এপ্রিল মাসে সেই হামলা হতে পারে, তা-ও জানতেন গোয়েন্দারা। খবর ছিল, ১৯ এপ্রিল, প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফরের কাছাকাছি কোনও একটা দিনে শ্রীনগরে পর্যটকদের নিশানা করা হতে পারে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই পদক্ষেপ করেছিল প্রশাসন। কিন্তু শ্রীনগরের পরিবর্তে হামলা হয় শ্রীনগর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে পহেলগাঁওয়ের বৈসরনে। পরে আরও জানা গিয়েছে, বৈসরনে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে ছিল স্থানীয় দুই জঙ্গিও। এ ছাড়া, বাইরের আরও দুই জঙ্গি ছিল। চার জন মিলে পর্যটকদের উপর হামলা চালায়।

গোয়েন্দা দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, আক্রমণের আগে ওই দুই স্থানীয় জঙ্গি পর্যটকদের সঙ্গেই ছিল। তারাই পর্যটকদের ফুড কোর্ট কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়, যেখানে অন্য দুই পাক সন্ত্রাসী পর্যটকদের উপর গুলি চালায়। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘‘তদন্তে এটা স্পষ্ট যে, জঙ্গিরা হামলার চার-পাঁচ দিন আগে থেকে বৈসরন এবং এর আশপাশেই ছিল। এলাকার কিছু লোকের স্থানীয় সমর্থন ছাড়া এত বড় ঘটনা ঘটা সম্ভব নয়।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, অটারী সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে যাওয়া কাশ্মীরিদের বিবরণের সঙ্গে সন্দেহভাজনদের পরিচয় মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও সূত্র পেলেই হামলাকারীদের প্রকৃত পরিচয় জানা যাবে। তদন্তে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ কাশ্মীরের বাসিন্দা ওই দুই স্থানীয় জঙ্গি আগে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিল, কিন্তু তাদের পুনরায় পাকিস্তানে যাওয়ার কোনও নথি মেলেনি। সম্ভবত তারা জম্মুর কাঠুয়ার দিক থেকে ফের ভারতে ফিরে এসেছে। তাদের খোঁজে উপত্যকায় চিরুনি তল্লাশি চলছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement