অসম সরকারের নির্দেশে করিমগঞ্জ জেলার স্কুলে নির্মীয়মান শৌচাগারের টাকা লোপাটের বিষয়ে তদন্ত শুরু হল। করিমগঞ্জের জেলাশাসক এর জেরে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছেন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, করিমগঞ্জের বিভিন্ন স্কুলে শৌচাগার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যে সব স্কুলে শৌচাগার নেই বা একটি শৌচাগার রয়েছে— সেখানে ছাত্র ও ছাত্রীদের জন্য পৃথক শৌচাগার নির্মাণ করতে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল সরকার। ছাত্রদের জন্য শৌচাগার তৈরির জন্য স্কুল প্রতি ১ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা ও মেয়েদের জন্য ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। প্রায় ছ’শো স্কুলে শৌচাগার নির্মাণের কথা ছিল। যে সব স্কুলে পুরনো ধাঁচের দু’টি শৌচাগার রয়েছে, সেখানে সেগুলিকে মেরামত করার কথা বলা হয়।
অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ না মেনে করিমগঞ্জে বিশেষত পাথারকান্দি বিধানসভা এলাকার কয়েকটি স্কুলে উন্নতমানের শৌচাগার ভেঙে নতুন শৌচাগার তৈরির কাজ শুরু হয়। এ সংক্রান্ত অভিযোগ সরাসরি পৌঁছয় অসমের মুখ্যসচিব ভি. কে পিপারসেনিয়ার কাছে। তিনি এ বিষয়ে করিমগঞ্জের জেলাশাসককে তদন্ত করার নির্দেশ দেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পাথারকান্দিতে কয়েকটি অসঙ্গতি খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারী ম্যাজিস্ট্রেট জেসিকা লালসিম।