দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে গাড়িতে বিস্ফোরণ। — ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণের তদন্তে আরও তিন জনকে আটক করল পুলিশ। তাঁদের মধ্যে দু’জন হরিয়ানার আল্ ফালাহ্ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ওই দু’জনই লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়ির চালক চিকিৎসক উমর মহম্মদ ওরফে উমর নবির পরিচিত।
লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের তদন্তে শুক্রবার বেশি রাতের দিকে হরিয়ানার ধৌজ, নুহ্ এবং সংলগ্ন কিছু এলাকায় হানা দেন তদন্তকারীরা। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল এবং অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি যৌথ ভাবে অভিযান চালায়। ওই অভিযান চলাকালীনই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই চিকিৎসক-সহ তিন জনকে আটক করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে পিটিআই জানাচ্ছে, ধৃত দুই চিকিৎসকের নাম মহম্মদ এবং মুস্তাকিন। তাঁরা উভয়েই নুহ্ এলাকার বাসিন্দা।
ফরিদাবাদে বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় ধৃত অপর চিকিৎসক মুজ়াম্মিল গনির সঙ্গেও আটক দুই চিকিৎসকের যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে পিটিআই জানাচ্ছে, বিস্ফোরণের দিন ওই দুই চিকিৎসকের মধ্যে এক জন দিল্লিতেই ছিলেন। এমসে একটি ইন্টারভিউয়ের জন্য দিল্লিতে গিয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই উঠে এসেছে বলে সূত্রের খবর। মুজ়াম্মিলের সঙ্গে তাঁদের কোন সূত্রে যোগাযোগ ছিল, কী রকম সম্পর্ক ছিল তাঁদের মধ্যে— সে বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে ওই দুই চিকিৎসককে।
দুই চিকিৎসক ছাড়াও আটক করা হয়েছে দীনেশ ওরফে ‘ডাব্বু’ নামে এক সার বিক্রেতাকে। তদন্তে উঠে এসেছে, কোনও লাইসেন্স ছাড়াই ওই ব্যবসা চালাতেন তিনি। তবে ওই বেআইনি ব্যবসার বাইরেও অন্য অপরাধমূলক কাজকর্মে তাঁর যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করছেন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এর আগে তদন্তে উঠে আসে, জঙ্গিযোগের সন্দেহে ধৃতেরা প্রায় তিন লক্ষ টাকা দিয়ে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম সমৃদ্ধ সার কিনেছিলেন। এই সার ব্যবহার করে ইমপ্রোভাইজ়ড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) তৈরি করা যায়। দীনেশই তাঁদের সেই সার বিক্রি করেছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।