National

ট্রেন যাত্রায় জীবন বিমা!

যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষায় অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল। দূর পাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে বিমা। দশ লক্ষ টাকার। যার অর্থ, ট্রেন-দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার বিমা-বাবদ পাবেন দশ লক্ষ টাকা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৬ ১২:৩৩
Share:

যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য ও সুরক্ষায় অভিনব পদক্ষেপ করতে চলেছে ভারতীয় রেল।

Advertisement

দূর পাল্লার ট্রেনে যাত্রীদের জন্য চালু হচ্ছে জীবন বিমা। দশ লক্ষ টাকার। যার অর্থ, ট্রেন-দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রীর মৃত্যু হলে তাঁর পরিবার বিমা-বাবদ পাবেন দশ লক্ষ টাকা। দুর্ঘটনায় কোনও যাত্রী স্থায়ী ভাবে বিকলাঙ্গ হয়ে গেলে, বিমা-বাবদ তাঁকে দেওয়া হবে সর্বাধিক সাড়ে সাত লক্ষ টাকা। আর গুরুতর জখম হয়ে কোনও যাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হলে পাবেন সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা। আর আপনার মালপত্র (লাগেজ) খোওয়া গেলে, রেল আপনাকে ক্ষতিপূরণ দেবে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা।

ওই বিমার জন্য যাত্রীদের কাঁধে কোনও বোঝাও চাপবে না। বিমার ‘প্রিমিয়াম’ হিসেবে গুণতে হবে টিকিট-পিছু বাড়তি দু’টাকারও কম। ভাড়া বা দূরত্ব, যা-ই হোক না কেন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই ভারতীয় রেলের দূর পাল্লার ট্রেনগুলিতে ওই জীবন বিমা চালু হচ্ছে। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়। যাত্রীরা না চাইলে, তাঁদের জন্য ওই জীবন বিমা করানো হবে না। আর একমাত্র অনলাইনে টিকিট ‘বুক’ করলেই ওই জীবন বিমার সুযোগসুবিধা পাওয়া যাবে। বাছাই করে তিনটি সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে ওই জীবন বিমার দায়িত্ব।

Advertisement

‘ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন’ (আইআরসিটিসি)-এর চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর অরুণ কুমার মানোচা এ কথা জানিয়েছেন। রেল সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছর ধরেই এই জীবন বিমা চালুর বিষয়টিকে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিবেচনা করা হচ্ছিল। এখনও ট্রেন-যাত্রার মধ্যে দুর্ঘটনাগ্রস্ত যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে ভারতীয় রেলে। তবে তার জন্য রেল ট্রাইব্যুনালের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ। কিন্তু এখন অনলাইনে ‘বুকিং’-এর ক্ষেত্রে জীবন বিমার যে ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তা অনেক বেশি করে মানুষের কাছে পৌঁছবে বলে রেল-কর্তারা মনে করছেন।

মুম্বইয়ে শুক্রবার মানোচা এও জানিয়েছেন, অসংরক্ষিত টিকিট ব্যবস্থাকেও সরলতর করা হচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে শুরু করা হচ্ছে। ই-টিকিট বাতিল করা হলে যাত্রীদের টাকা ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি দ্রুত ও সরলতর করতে রেলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ আরও উন্নত করা হচ্ছে। দূর পাল্লার ট্রেনে সার্ভ করা খাদ্যের গুণমান ও প্রকারভেদ বাড়ানোর কথাও অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ভাবা হচ্ছে। ভাবা হচ্ছে নতুন ভাবে ‘ই-ওয়ালেট’ চালু করার কথাও। ওই ‘ই-ওয়ালেট’টি এত দিন চালানো হতো প্যান কার্ডের ভিত্তিতে। এ বার আধার কার্ড থাকলেই ওই ‘ই-ওয়ালেট’ ব্যবহার করতে পারবেন যাত্রীরা। দশেরা বা দিওয়ালির সময়েই ওই ‘ই-ওয়ালেট’ চালু হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- দেড় মাস পর উদ্ধার কাবুলে অপহৃত কলকাতার জুডিথ, ফিরছেন ঘরে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন